শেষ দেখা
এই আমাদের শেষ দেখা, হিমালয়ের পাদদেশের ঘন অরণ্যের মাঝে, কোনো এক কাঠের রিসর্টে এই আমাদের শেষ তিনদিন।। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, রেলগাড়ির কামরায়, দুজোড়া চোখ, কামুক হতে চাইছে প্রতিটা চলে যাওয়া মুহুর্তে।। এই আমাদের শেষ দেখা।। প্রতিবারের মতোই, তোমার শেষ ডাক ও অবজ্ঞা করতে পারিনি আমি, তোমার সাথে কখনো রাত দেখা হয়নি আমার।। তাই তোমার ডাক, নিশির মতো টেনেছিল আমায়, শর্ত তিন দিন পর, স্টেশনের ওই বড় ঘড়ির নিচে, রাস্তা আলাদা হবে আমাদের, যা আর কোনদিন মিলবেনা।। এই আমাদের শেষ দেখা।। এখন ঘড়ির কাটায় ৩টে, সূর্যের আলো নিভে এসেছে প্রায়, তবু গভীর অরণ্যের ফাক ফোকর দিয়ে তীক্ষ্ণ দাঁত বসাতে চাইছে, আমাদের শেষ দিন যাপনে, খোলা বারান্দায় বসে শোনা যাচ্ছে, অচেনা কোনো পাখি, কিংবা বিষাক্ত কোনো শ্বাপদ। আমাদের মাঝে চায়ের কাপের ধোয়া মিশে যাচ্ছে, সুদূর আকাশে। এই আমাদের শেষ দেখা।। সন্ধেটাকে তোমার পছন্দের স্পাইরাল মোমে সাজিয়ে দিলাম আমি, বাইরে পূর্ণিমার পূর্ণ চন্দ্রালোক, কাঁচের জানলায় লেপ্টে যাওয়া, আমার স্তনবৃন্ত, তুমি উম্মত্ত হয়ে সোহাগে রাঙিয়ে দিচ্ছো, আমার বক্ষদেশ, উরু, নিতম্ব, যোনিপথ।। প্রথমবারের চেয়ে অনেক তীক্ষ