Posts

Showing posts from February, 2019

প্রত্যুত্তর

তোমার আমার অমিল কোথায় জানো? তুমি ভালবাসাতে পারো, আমি আর তা শিখতে পারলাম কই? এক বৈশাখ থেকে ফাগুন কাটিয়ে ফেললাম তোমার গন্ধ মেখে। এতদিনে মাত্র আটবার ছুঁয়ে দেখেছি তোমায়, কখনো অল্প, কখনো বিস্তর। প্রত্যেক ছোঁয়ার শেষে তুমি দাগ রেখে যাও শরীর অথবা মনের একপাশে, ধীরে ধীরে দাগ মিলিয়ে আসে, অপেক্ষা শুরু হয় আবার। বিশ্বাস করো, এর আগেও অনেকবার পুরুষ চিনেছি আমি, পৌরুষত্ব ছুঁয়ে দেখেছি, অনেক বার দাবানলের কারণ হয়েছি আমি, চোখের আগুনে অনেক ফাগুন থমকে হাওয়ায় মিলিয়েছি আমি, তোমার মত আমায় বাঁধতে পেরেছে ক'জন, তোমার প্রত্যেক লেখনী, তোমার প্রতি বারের জড়িয়ে ধরায় হারিয়ে ফেলার ভয় দেখাতে পেরেছে ক'জন । আর ঐ প্রত্যেকবারের ভয় আমার ভালবাসা বাড়িয়েছে রোজ, ঘড়ির কাঁটার মতো আঁকড়ে ধরেছি তোমায়।  তুমি প্রতিবার বলো, আমি কারোর হবনা, আমি কোত্থাও যাবনা, আমার মোটেও ভয় কমেনা জানো? হয়তো কমাতেও চাইনা। হ্যাঁ! আমি হিংসে করি, আজকালের এই লাল নীল দুনিয়ায় অন্য কোনো নারীর উন্মুক্ত বক্ষবন্ধনীর ছবিতে আঙুল ছুঁয়ে, তুমি শুধুমাত্র তোমার ভালোলাগা জাহির করলে আমার হিংসে হয়, অন্য কোনো নারী কল্পনাতেও তোমায় ছুঁতে চাই

বেরু বেরুর হিজিবিজি🚌

রাত্তির তখন ২টো ৩৫, বাসটা থামল আওয়াজ করে,বাসের জানলার বাইরে চোখ রেখে দেখলাম পূর্ব বর্ধমানে আপনাকে স্বাগত, চোখ কচলে মনে পড়ল একটু আগেই ওনার সাথে হোয়াটসঅ্যাপ এ একটা একতরফা একটা ঝগড়া করে এসেছি, কারণ আমার এই কমবয়েসী তীর্থ ভ্রমণের পথে, হাজার হাজার মাইল দুরত্বে থাকা আমার তিনি তার অনলাইন সান্নিধ্য না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, যদিও এখনো আমরা প্রেম পর্যায়েই।  আমার সহযাত্রীরা ঘুমে মগ্ন, ওপাশের সিটে ষাটোর্ধ্ব দিদাটা, দাদুটার গায়ের চাদরটা বেশ করে টেনে দিল, আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো, ওদের সাথে আমার খুব ভাব হয়েছে। ওদের নাম দিয়েছি মিষ্টি দাদু দিদা। ঠিক আমার মনের মত, একসাথে থাকার অভ্যেসটা কে ও ওরা অভ্যেস করে ফেলেছে। সকালে বৌদি ফোন করেছিল, দাদা একটা বাচ্চা চায়, নয়তো ডিভোর্স, পাগলের মত করছিল মেয়েটা,অ্যাডপ্ট ও করতে নারাজ। অথচ আজ থেকে বছর দশেক আগে প্রেম সেরে বিয়েতে এসে দাঁড়িয়েছিল ওরা, লাল রং টা বোধহয় ফিকে হয়েছে অনেকটা, আমি ও অপারগ হয়েই বললাম ফিরে এসে বসব সবাই, কিন্তু ভাঙনের আওয়াজ টা বেশ স্পষ্ট। এইসব ভাবতে ভাবতে রাতটা পরিষ্কার হয়ে এলো, ম্যাসান্জোরে পৌঁছলাম আমরা। লালমাটি, মামা ভাগ্নে

||week of love|| ❤️

মাণিকতলার মোড়ের বিরুষ্কার মান্যবর-মোহে -র বড় পোস্টারটার নীচে রোজ আটটা চল্লিশ এ এসে দাঁড়ায় ঋদ্ধি.. আর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পর্ণার বাসটা পাস করবে, আর ঐ কয়েক ঝলক দেখে নেবে ঋদ্ধি, সিগন্যালে আটকালে আরো কিছুক্ষন বেশী.. বিগত দু'বছর ঐ একই রুটিন দুজনের, এক অমোঘ অপেক্ষা... কোনোদিন বলা হয়ে ওঠেনা.. শহরের কোলাহলে হারিয়ে যায় অল্প করে.... ঠিক চিড়িয়ামোড়ের লাল সবুজ কমলা পতাকা গুলোর ভীর সরিয়ে, ভীর বাসটায়  উঠে একটু হেলান দেয় কেকা, যেন একদন্ড জিরিয়ে নেওয়া। ব্যাগ থেকে ফোন বার করে... আলতো স্বরে বলতে থাকে কোথায় কপি ভাপা, কিংবা পোস্ত রেঁধে রাখা আছে, কোথায় ওয়ালেট কিংবা রুমাল, আমি বাস পেয়েছি, বলার ঠিক আগেই ওদের প্রান্ত ফোন কেটে দেয়, শ্রাবণ- এর মেঘ হয়ে যায় কেকার মুখটা.. প্রায় বছর পাঁচেক ওরা একসাথে, একই ইউনিভার্সিটি থেকে একই অফিস, বিঠোফোনের নাইন্থ সিম্ফনির মত সত্যি ছিল ওদের সবটা গল্প। প্রথম বার অন্তরার কপালে অন্য কারোর আঁকা লাল দাগটা বেশ অবাক করেছিল সৌপ্তিককে, বেশ কদিন ঘুমোতে পারেনি.. তবুও আজ ও অফিস টা এক, অন্তরাকে নিশ্চিন্তে অন্য বুকে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বটা আজও ওরই...