হেমন্তে হারিয়ে যাওয়া একটা চিঠি 🍁
প্রিয় রোদ্দুর
পাশে এসে দাঁড়ালে, তোমার শরীরে হেমন্ত জমে থাকতে দেখি আজকাল,
সেই গ্রীষ্মের আলাপ থেকে, শ দুয়েক বসন্ত কেটে গেছে আমাদের...
তবু তোমার হেমন্তে আটকে থাকার কারণ জানা নেই আমার।
আমার শাড়ির খুটে যত্ন করে বেঁধে রাখি তোমার গায়ের হেমন্ত কে।
বিকেল বেলায় হারিয়ে যায় আমার ডায়রীর সমস্ত কবিতারা, ওদের প্রায়শচিত্ত শেষ....
তবু যারা টিকে থাকে ওদের আমি মাঝরাতের জন্য বাঁচিয়ে রাখি।
তুমি আসার সহস্র দিন আগে থেকেই আমার গায়ে তোমার গন্ধ, টের পেয়েছিল সমস্ত চারাগাছ।
আমি কতবার আয়নাকে বলেছি, "না না ওরম কিছু না.."
বারান্দায় হেমন্ত এসে দাঁড়িয়েছে ততবার,
আমি শুধুই ঘাড় গোজার মতো আস্তানা চেয়েছিলাম, ভোর আর বিকেলের মাঝে। আমার সমস্ত প্রাক্তন প্রেমিকের অসাধ্য ছিল সেটুকুই,
আর তুমি, নিজেই ঘর হয়ে গেলে আমার।
ভোরবেলা আদর জানলা দিয়ে বেরিয়ে গেলে,
আমি আদরদাগ মুছতে লন্ড্রিতে পাঠাইনা চাদর।
অগোছালো বিছানাতেই সন্ধে বাতি রাখি আমি,
আর জানলায় একটা গোলাপ গন্ধী ধুপ।
আর তোমার আমার গল্পের বয়েসী তোমার জন্য আমার অপেক্ষা, সে তো আছেই।
তুমি ফেরার পর, সেই চা, দোলনা, রংচটা দেওয়ালের ভেতরকার রঙিন সব গল্প, চলতে থাকে রোজ।
এই শ দুয়েক বসন্তে মাত্র ঊনপঞ্চাশ বার দেখা হয়েছে আমাদের;
তোমার শব্দ দিয়ে মনের ক্ষত সারিয়ে তুলে, শরীরের জন্মদাগ ও এখন আত্মস্থ তোমার।
তবু তোমার কাছে যাওয়ার দিন, আমার আয়নার খুশি কে দেখে...
শুধু সেই আলাপ পর্বের মত তোমার জন্য কবিতা লেখা হয়না আমার,
কারণ হেমন্তের বিকেলে আমার ডায়রীর কবিতারা হারিয়ে যায়; ওদের প্রায়শচিত্ত শেষ....
তবু যারা টিকে থাকে ওদের আমি এমন কোনো সন্ধ্যের জন্য বাঁচিয়ে রাখি।
তোমায় শোনাবো বলে
ইতি
তোমার সাথে পঞ্চাশতম দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা তোমার মোহনা।।
Comments
Post a Comment