ডিসেম্বরের চোদ্দ সেদিন


এরমই এক ডিসেম্বরের চোদ্দ সেদিন, এক পৃথিবী লিখব বলে তখন আমি ঘর ছেড়েছি;

নীলচে সবুজ পৃথিবীটার কোনো কোণায় থাকবো পড়ে, একাই বাঁচবো, একাই পাহাড় ডিঙিয়ে যাব।

গ্লেনারীস বা ফুটের দোকান, যখন যেমন ইচ্ছে হবে, লিখব সবই লিখেই যাব।

আমি তখন মেঘবালিকা, এই শহরে আমার জন্য তখন কারোর অপেক্ষা নেই।

পিছুটানহীন শীতের রোদে, আদিগন্ত আকাশ আমার, শুধুই আমার।


বাঁধ সাধল একটা ছেলে, হাজার বছর যে ছেলেটা এক পৃথিবী লিখেই গেছে,

ছড়িয়ে গেছে সেসব চিঠি আদিগন্ত আকাশ জুড়ে;

মেঘবালিকার সাধ্যি কোথায় সেসব চিঠি ফিরিয়ে দেওয়ার?

মেঘবালিকা তখন ও যে একটা খাতাও শেষ করেনি।


অগত্যা সেই ঘর বাঁধল মেঘবালিকা।

উঠোন জুড়ে খসে পড়ল ডিসেম্বরের সব তারারা।

বহু যুগের চুপ থাকা সব কবির খাতায়, হঠাৎ করেই বৃষ্টি এল ডিসেম্বরে।

ওদের তখন ঘরের ভেতর হাজার হাজার নীল জোনাকি।

যেই আলোতে হারিয়ে যাচ্ছে মেঘ বালিকার একলা বাঁচা..

ভরে উঠছে একলা থাকা কবির খাতা।

বলছে ওরা 

কালকে থেকেই শহর জুড়ে শীত আসবে জাকিয়ে এবার।

ভাববে দুজন, এক পৃথিবী লিখব এবার দুজন মিলে,

এক পৃথিবী লিখতে বসে একটা খাতাও শেষ হবেনা।

কারণ, ডিসেম্বরের চোদ্দ তারিখ, এরমভাবেই;

 খাতার ওপর অঝোর ধারায় বৃষ্টি  হবে।।

Comments

Popular posts from this blog

Sunday_Motivation... 🌻

নববর্ষ 🌸

অলস দুপুর