তুমি শহর ছাড়ার পর

আজ শহরে খুব এলোপাথাড়ি হাওয়া, জানো?
তুমি শহর ছাড়ার পর, প্রথম রাত্তির;
রাত দুটো বাজতে দশ, ঘুম নামছেনা শরীরে।
মশারি এফোঁড় ওফোঁড় করছে দক্ষিণী হাওয়া।
আমার তখন বছর উনিশ হবে,
দিতসা, সুপ্রীতি কে ভালোবাসতো, তখন
চায়ের ভাঁড় আগাগোড়াই আমার খুব প্রিয়;
আমি চায়ে চুমুক দিতাম, আর ওরা
 একে অপরকে;
লজ্জায় লাল হয়ে যেতাম আমি।
তবু জানতাম ওটাকে ও ভালোবাসা বলে।।
বছর ঘুরে দিতসার এক পুরুষ সঙ্গী হলো,
হাঁটুর বয়েসী, তবু তার যৌনাঙ্গ আর,
কবিতার পঙক্তি সবটা ঢেকে দিত দিতসার।।
স্বপ্ন বুনত সংসারের;
ওই যেমন দুঃসাহস এ, আমিও বুনে ফেলি;
মাঝে মাঝে।
মা বলছিল, তোমার অপেক্ষা করা নাকি বৃথা,
আমার চুলে পাক ধরবে, আর তুমি অন্য কাউকে
নিয়ে কবিতায় মাতবে।
আমি বোঝাতে পারিনা, তোমার বুকে লেগে থাকা আমার ওই পাহাড়ি শান্তিটা।।
চুপ করে যাই।।
তুমি অন্য কারোর হলেও, কিছু করার নেই আমার;
অপেক্ষা ছাড়া।।
দিতসা সেবার ও পারেনি।।
কেউ অপেক্ষা করতে পারেনা ক্যানো? জানো??
তুমিও বলছিলে, অন্য লোকের হয়ে যাওয়া সোজা; সবাই বলে,
এখন আমার বয়স পঁচিশ মতো,
দিতসা আজ এই পাঁচবার হলো রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদলালো;
কেমন ঘেন্না করতে ইচ্ছে হচ্ছে আজ আমার।।
ভালোবাসাকে ঘেন্না করতে ইচ্ছে করছে।।
এই যে তুমি বইয়ের ফাঁকের গোলাপ পাপড়ির মতো; মাঝেমাঝে,
আমার শহরে দিনযাপন করে যাও, ওটা কি মিথ্যে তবে??
অপেক্ষা বলে কি কিছুই হয়না?? তবে?
গল্পের শেষটা সরণজিতের উপন্যাস হয়না??কেন??
একবার জরিয়ে ধরবে প্লিজ?
আমার সব ঘেন্না ভয় মিথ্যে করে দেবে?? আরেকবার??
ঘুম টা না নিয়ে গেলেও পারতে, রোদ্দুর ।।

Comments

Popular posts from this blog

Sunday_Motivation... 🌻

নববর্ষ 🌸

অলস দুপুর