मेरा कुछ सामान...💐
ছেড়ে যাওয়া আর ছেড়ে আসার মাঝখানে একটা সরু চুলের মতো পাঁচিল আছে, খালি চোখে সচরাচর চোখে পড়েনা, তবু আছে। চলে যাওয়া বা চলে আসার কিছু আগের মুহূর্ত থেকেই তা টের পাওয়া যায়, কোথাও বা কারোর নিরন্তর ডেকে যাওয়া কে উপেক্ষা করে অপরজন এগিয়ে যেতে চায় অন্য কোথাও বা শয্যাশায়ী ষাটোর্ধ বৃদ্ধ অনিচ্ছায়ও পরিজনদের সমস্ত প্রার্থনা কে দূরে ঠেলে এগিয়ে যায় অজানার দিকে, দু ক্ষেত্রেই কেউ ছেড়ে যায় আর অপরজন ছেড়ে আসে।
ছেড়ে আসাকে আগাগোড়াই আমার অনেক বেশি আশাবাদী মনে হয়, কোনোদিন কারোর কোনো প্রার্থনা কিংবা কারোর কোনো ক্ষুদ্রতম থেকে যাওয়ার অনুরোধ কে ফিরিয়ে দেওয়ার মত দুঃসাহস হয়নি আমার, থেকে যাওয়াকেই জন্মদাগের মতো সত্যি মনে হয়েছে।।
তবু দেখেছি, ছেড়ে যেতে, দুদিন আগেও কোনো কাগজী ফুলগাছের নিচে দেখা করেছি উপহার বিনিময় হয়েছে, কথা দেওয়া হয়েছে তারপর হঠাৎ ই হয়তো উপেক্ষার সাথে দেখা হয়েছে আর শ্রেয়া ঘোষালের রিংটোনের গলা টিপে নিয়ন আলো মোছা গলি বেয়ে নেমে এসেছে বিষন্ন সন্ধ্যা। আমি একলা ছাদে বসে আবৃত্তি করেছি কেউ কথা রাখেনি। ছায়াপথের দিকে চোখ রেখে ভেবেছি আমায় কিন্তু কথা রাখতেই হবে তারপর নতুন সকাল এসেছে একদিন, দুটো বসন্ত পেরিয়েছে, আমি কথা রেখেই গেছি, হঠাৎই একদিন জানতে পারি স্টেথোস্কোপ, ভাইব্রেট মোড, পেরিয়ে আমার জানলার পাশের আলো কমে আসা নির্জন লাইটপোস্টটাও হঠাৎ ই একদিন নেই, কেননা কেউ কথা রাখেনা।।
ছাদের রেলিংয়ে রজনীগন্ধার গাছ বেয়ে, ছেড়ে যাওয়ার গন্ধ আসে আমার নাকে, আমার প্লে লিস্টে তখন "মেরা কুছ সামান, তুমহারে পাস পড়া হ্যায়..." শান্তির জল ছিটিয়ে নিয়ে আবার কথা রাখতে শুরু করি আমি, কারণ আমি আজ ও কথা রাখতে ভালোবাসি, ছেড়ে যেতে ভালোবাসিনা আজ ও।। কোনোদিন কারোর কোনো প্রার্থনা কিংবা কারোর কোনো ক্ষুদ্রতম থেকে যাওয়ার অনুরোধ কে ফিরিয়ে দেওয়ার মত দুঃসাহস হয়নি আমার, আজ ও।।
Comments
Post a Comment