#HashTagDeath

মৃত্যু, मत , কিংবা death... সে আপনি যে ভাষায় যেমন ভাবেই বলুন না কেন, কি অদ্ভুত মন খারাপ মেশা, গম্ভীরএকটা শব্দ না?? ভয় করে যে সমস্ত শব্দে??
কি মনে পড়ে শব্দটা শুনলে?? ডিজিটাল স্ক্রিনের ওপর হঠাৎ একটা সরলরেখা, নাকি ওই স্যালাইনের শেষ বুদ্বুদটা? নাকি হঠাৎ করেই আপনার স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা একটা দুঃস্বপ্নের দিন??

Death is the cessation of all biological functions that sustain a living organism. Phenomena which commonly bring about death include aging, predation, poisoning, malnutrition, disease, suicide, homicide, drug intoxication, starvation, dehydration, and accidents or major trauma resulting in fatal injury.

ভাবছেন এটা কি?? ওই যে শব্দটাকে আপনি খুব ভয় পান, google ওই ভয়টাকে মার্জিন টেনে ছোট করে লিখে দিয়েছে এইভাবে।
Death!!
search করেননি শব্দটা কোনোদিন?? সে কি?? এই কদিনে  nepotism, boycott, hashtag, ভারত চীন সীমান্ত, ৪৫ বছর আগের ইন্দোচীন সম্পর্ক সব সার্চ করে ফেললেন অথচ 2020র সবচে ইম্পরট্যান্ট শব্দ টা খুঁজে দেখলেন না একবার ও?? মৃত্যুর প্রকারভেদ, মৃত্যুর পরের সময়টুকু এইসব টাও সার্চ করাই যেত, কিন্তু আপনি এই ভয়ার্ত শব্দটাকে এতটাই ঠুনকো করে দিলেন, যে শুধুমাত্র কিছু প্রাত্যহিক মসলাদার আলোচনায় চাপা পড়ে গেল মৃত্যুর মতো একটা কঠিন সত্য।।

না ঠিক নির্দিষ্ট কাউকে মনে করতে বলছিনা, আমি সে সমস্ত মৃত্যুর কথা বলছি, যাদের আমরা এ বছর হারিয়ে ফেলেছি, মৃত্যু কষ্টের, প্রতিটা মৃত্যু সাদা ফুলের মতো নির্মল কষ্ট নিয়ে আসে, তাদের অন্যান্য অঙ্ক কষে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করবেন না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, মহামারী হোক, বর্ণ বিদ্বেষ হোক, যুদ্ধ হোক কিংবা আত্মহত্যা হোক, মৃত্যু কষ্টের। তাকে ভয় পান, সে আসার আগে যতটা সম্ভব পাশের মানুষদের ভালোবাসুন। স্বয়ং বিশ্বকবি মৃত্যু কে উপহাস করে বলেছিলেন 'এই মাত্র আর কিছু নয়, ভেঙে গেল ভয়!!' মৃত্যুর ঠিক আগের অস্ত্রপ্রচার এর আগে সাজিয়ে গেছিলেন একটি কবিতার পাণ্ডুলিপি, কিছু শব্দ অদল বদল করার কথা ছিল, তবু কথা রাখা হয়নি আর।। মৃত্যু মানেই এক রাশ কথা না রাখা, এক রাশ না বলা কথা .... মৃত্যুর ঠিক পরের সেকেন্ড থেকেই এই প্রকান্ড পৃথিবীতে আপনি আছেন কিন্তু মৃত ব্যক্তিটি নেই, কোত্থাও নেই, এই ভাবনাটাই আমায় রোজ অল্প অল্প করে অবাক করে দেয় কিংবা ঠিক সেই সময়টায় মুমূর্ষুর মনে কি চলে, কি বলা হয়না কোনোদিন, এরম ভেবেছেন আপনি কোনোদিন?? না বোধ হয়।।

Suicide is the act of intentionally causing one's own death. Mental disorders, including depression, bipolar disorder, autism, schizophrenia, personality disorders, anxiety disorders, and substance abuse—including alcoholism and the use of benzodiazepines—are risk factors,..

এটা?? আত্মহত্যার ডেফিনিশন ফ্রম গুগল, মানে টা ভেবে দেখুন একবার, ছোটবেলায় বিজ্ঞানে পড়েছিলেন না, বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করে গতিশীল বস্তুকে থামানো, অনেকটা সেরকম। বল প্রয়োগের পরের টা দেখতে পান, বল প্রয়োগের আগের মুহূর্ত টা ভাবতে পারেন না বোধ হয়, অবশ্য ওই সিট টায় না বসলে ভাবতে না পারার ই কথা, তবে ভাবতে পারলে দেখতেন কোনো ক্লিশে হ্যাশট্যাগ দিয়ে আত্মহনন কে ছোট করতে পারতেন না। কষ্ট হয়, খুব প্রিয় আয়নাটাকে ভাঙতে কষ্ট হয়, হ্যাঁ ছেলেদের ও হয়, আপনার প্রিয় নায়কের ও হয়, বিদ্রোহকে পাশে সরিয়ে একটু কষ্ট পাননা আপনিও। প্লিজ।।

the practice among those with power or influence of favouring relatives or friends, especially by giving them jobs.

এটা নিশ্চই চিনতে পারছেন, হ্যাঁ nepotism, একটু বড় করে বললে favouritsm, হ্যাঁ অন্যায়, এই পথে হেঁটে কাউকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া স্পষ্ট কথায় অন্যায়, কিন্তু আবার বলছি ভেবে দেখুন, nepotism একটি মানুষের খুব সাধারণ একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, মানে ফেসবুক কিংবা ইনস্টার bio তে লিখতে পারার মতো একটা adjective হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, আমরা সবাই কম বেশি করি, এই যেমন গত কদিন ধরে আমার খুব এই বছরের বই মেলার কথা মনে পড়ছে, আমি নিজেকে সাহিত্যপ্রেমী বলি, বইমেলায় খুব পরিচিত নামী লেখকের বই ও কিনেছিলাম, বেশ মনে আছে পঞ্চাশোর্ধ এক জন ভদ্রলোক নিজের লেখা একটি চটি বই শুধুমাত্র দেখার অনুরোধ করেছিল আমি মোটেও দেখিনি, গত কদিন ধরেই ওনার বইটা খুব কিনতে ইচ্ছে করছে, এরম অভিজ্ঞতা কম বেশি সবার আছে, এটা কে কি একরকম nepotism বলেনা??
আপনি কষ্ট পাচ্ছেন এক নায়কের চলে যাওয়ায়, বিদ্রোহ বয়কট করছেন, সাত বছরের সম্পর্কের পর হঠাৎ যেদিন প্রেমিক ভালো রোজকার করেনা বলে কিংবা প্রেমিকা ছোট পোশাক পড়েনা বলে মাঝ রাস্তায় খুব বৃষ্টিতে হাত ছেড়ে চলে গেছিলেন, কিংবা একটু মুক্ত থাকতে মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে ঠেলে দিয়েছিলেন, কষ্ট হয়নি সেদিন, ওটাকে কি favouritism বলা যায়না??বলা যায় হয়তো, তবু সে শব্দ মৃত্যুর চেয়ে বড় নয়, বিশ্বাস করুন মৃত্যুর চেয়ে বড় হতেও পারবেনা।

লাদাখের সীমান্তে প্রাণ হারানো এক সৈনিকের মা কে  সেদিন এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করছিল শেষ বার ছেলেকে কি রেঁধে খাইয়েছিলেন? আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম কতটা নির্মম হয়েছি আমরা, সদ্য ছেলে হারানো কোনো মা কে এই প্রশ্ন করা কি কোনো অন্যায় নয়, ঠিক এইভাবে প্রতিনিয়ত আমরা মৃত্যু কে ক্ষুদ্র করে তুলছি, আপনি কষ্ট না পান অন্তত তার কাছের মানুষটা কে একটু কষ্ট পেতে দিন, প্লিস। আপনি হ্যাশট্যাগ লাগিয়ে রিপ জানান, বয়কট করুন, কিন্তু তার প্রিয় মানুষটাকে একটু স্পেস দিন দুঃখ পাওয়ার, অমুকের প্রাক্তন প্রেমিকা তার শেষকৃত্য এ কতটা কাঁদল, তা মিলিমিটারে মাপার দায়িত্ব বা তার ছবি আপনার ইউটিউব এ দেওয়ার সম্পূর্ন দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেবেন না প্লিস।।

ততক্ষণ নয় চারপাশে একটু খুঁজুন, আপনার কাছের কোন মানুষটাকে কতদিন ফোন করেননি,  কতদিন ভালোবাসি বলেননি মা বাবা কে, কতদিন প্রেমিকাকে গোলাপ কিনে দেন নি, মৃত্যু কে ভয় পান, তার গায়ে হ্যাশট্যাগ লাগিয়ে ক্লিশে করে দেবেন না প্লিজ।। শেষবার অন্তত একবার हैसियत না মেপে  खैरियत  মাপুন।

"There are cemeteries that are lonely, graves full of bones that do not make a sound,
the heart moving through a tunnel,
in it darkness, darkness, darkness,
 like a shipwreck we die going into ourselves,
as though we were drowning inside our hearts,
as though we lived falling out of the skin into the soul.".....

Comments

Popular posts from this blog

Sunday_Motivation... 🌻

নববর্ষ 🌸

প্রেমিকের গন্ধ