নির্ঝঞ্ঝা 🌪️
কবির ভাষায়,
"দূরে কোথাও প্রেম হয়েছে, আমরা ভাবি সাইক্লোন।।"
ঠিক তাই, গত ২০শে মে -র আগে আমাদের মতো আপামর সাহিত্যপ্রেমীর কাছে সাইক্লোনের মানে বলতে শ্রীজাতর কবিতার পঙক্তিই মনে আসত। আর affected কথাটা শুনলে হয়তো বা মনে পড়ত কবির সিং ছবির সেই লাইন টা; .... aur agar usko kuch bhi hua na; toh i'll be the most fucking affected ..
হ্যাঁ এইভাবেই আজ আমরা ভীষণ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছি, শুধুই আমার চারপাসটুকু নিয়েই সারাদিনের ব্যস্ততা, তাই তো আমফান চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর ও আমরা আমাদের কারেন্ট, আমাদের জল, আমাদের নেটওয়ার্ক, আমার ক্ষতি, আমার কি কি ক্ষতি হতে পারত, কিংবা আমার কিভাবে চলবে নিয়েই এখনো ব্যস্ত।। আমিও খুব একটা ব্যতিক্রম নই।।
তবু বাড়ির নিরাপদ ছাদের নিচে বসে আছি বলেই, আপামর বিপর্যস্ত মানবজাতি, বন্যপ্রাণী আর উদ্ভিদজাতির প্রতি নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় একফোঁটা সমবেদনা জানানোর ইচ্ছে হল।।
হাওয়া অফিস তো, এমন ই গুজব রটায়,
টিভি রেডিওয় বেয়ে আসে সতর্ক বাণী,
কোলের ছেলেটা কাঁদলে পেটের টানে,
ঝড় কে আমি টুঁটি টিপে দিতে জানি।।
এমন ভাবেই কেটে যাচ্ছিল বেশ,
ঝড়বাদলের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির,
ঝড় বলতে আমরাও ওই বারান্দাটাই বুঝি,
চোখে বালি পড়ে মনে পড়ে যায়, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি।
বুক চিতিয়ে ঝড় টানে ম্যানগ্রোভ ও, আমরা বুঝিনা ,
নিরাপদ ছাদ, কবিতা জমাই খাতায়,
পাশের বাড়ির চিলেকোঠা উড়ে আসে,
আমরা তখন ও ব্যস্ত লেখার পাতায়।।
হোস ফিরে আসে সব হারানোর পরে,
নিউজরুম জুড়ে দোষারোপেদের ঝড়,
কিলোমিটার এর বেগ কি আর ক্ষয়ক্ষতি দের মাপে,
ভেঙে যায় বাঁধ, অপেক্ষা শেষে ভেঙে পরে যায় ঘর।।
কাটাছেড়া হয়, রাজনীতি করে মাপা হয় ক্ষয়ক্ষতি,
হেলিকপ্টারে উড়ে আসে সব উপরতলার লোক,
ত্রাণের প্যাকেটে অনেক রঙের স্টিকার,
দু ঘন্টা ভেবে টুইট করা হয় শোক।।
আমরাও সেই খুব ভোরবেলা, ঘুম থেকে উঠে বসি,
রাস্তায় জল, নেটওয়ার্ক আর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন,
ফোনে চার্জ নেই, আপলোড হবেনা শোক,
কখন ভাববো কত পরিবার আজ ছিন্ন।।
প্রিয় শহর আজ শ্মশান, কবরখানা,
শয়ে শয়ে গাছ শুয়ে আছে নিশ্চুপে
কত গল্পের সাক্ষী ছিল সবাই, তবু
শোকসভা নেই, গাছেদের মৃত্যুতে।।
মহামারীতেই ছিল, শুনশান কলকাতা
গুজব ভেবেই উড়ে যায় সব সতর্ক বার্তারা।।
ত্রাণের চিঠি জমা পরে ভাঙা ছাদে,
বৃষ্টির জলে ভেসে যায় বই পাড়া।।
আমার শহর মন ভালোর গল্প ও বলে,
তিন মুঠো ভাতের, দু মুঠো পাঠায় ত্রাণে,
খোঁড়া হয়ে পড়া ইলেক্ট্রিকের খুটিও,
রাত জেগে থাকে মোমবাতিদের ঘ্রানে।।
প্রকৃতির তো উত্তর দেওয়ারই ছিল,
সব ভুলে গিয়ে, শক্ত হাতে ধরো হাল,
এ দুঃসময়ে, প্রার্থনা শেখো, যীশু আল্লা ভুলে,
আর জানো কারোর ওড়েনা ঘরের চাল।।
"দূরে কোথাও প্রেম হয়েছে, আমরা ভাবি সাইক্লোন।।"
ঠিক তাই, গত ২০শে মে -র আগে আমাদের মতো আপামর সাহিত্যপ্রেমীর কাছে সাইক্লোনের মানে বলতে শ্রীজাতর কবিতার পঙক্তিই মনে আসত। আর affected কথাটা শুনলে হয়তো বা মনে পড়ত কবির সিং ছবির সেই লাইন টা; .... aur agar usko kuch bhi hua na; toh i'll be the most fucking affected ..
হ্যাঁ এইভাবেই আজ আমরা ভীষণ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছি, শুধুই আমার চারপাসটুকু নিয়েই সারাদিনের ব্যস্ততা, তাই তো আমফান চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর ও আমরা আমাদের কারেন্ট, আমাদের জল, আমাদের নেটওয়ার্ক, আমার ক্ষতি, আমার কি কি ক্ষতি হতে পারত, কিংবা আমার কিভাবে চলবে নিয়েই এখনো ব্যস্ত।। আমিও খুব একটা ব্যতিক্রম নই।।
তবু বাড়ির নিরাপদ ছাদের নিচে বসে আছি বলেই, আপামর বিপর্যস্ত মানবজাতি, বন্যপ্রাণী আর উদ্ভিদজাতির প্রতি নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় একফোঁটা সমবেদনা জানানোর ইচ্ছে হল।।
হাওয়া অফিস তো, এমন ই গুজব রটায়,
টিভি রেডিওয় বেয়ে আসে সতর্ক বাণী,
কোলের ছেলেটা কাঁদলে পেটের টানে,
ঝড় কে আমি টুঁটি টিপে দিতে জানি।।
এমন ভাবেই কেটে যাচ্ছিল বেশ,
ঝড়বাদলের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির,
ঝড় বলতে আমরাও ওই বারান্দাটাই বুঝি,
চোখে বালি পড়ে মনে পড়ে যায়, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি।
বুক চিতিয়ে ঝড় টানে ম্যানগ্রোভ ও, আমরা বুঝিনা ,
নিরাপদ ছাদ, কবিতা জমাই খাতায়,
পাশের বাড়ির চিলেকোঠা উড়ে আসে,
আমরা তখন ও ব্যস্ত লেখার পাতায়।।
হোস ফিরে আসে সব হারানোর পরে,
নিউজরুম জুড়ে দোষারোপেদের ঝড়,
কিলোমিটার এর বেগ কি আর ক্ষয়ক্ষতি দের মাপে,
ভেঙে যায় বাঁধ, অপেক্ষা শেষে ভেঙে পরে যায় ঘর।।
কাটাছেড়া হয়, রাজনীতি করে মাপা হয় ক্ষয়ক্ষতি,
হেলিকপ্টারে উড়ে আসে সব উপরতলার লোক,
ত্রাণের প্যাকেটে অনেক রঙের স্টিকার,
দু ঘন্টা ভেবে টুইট করা হয় শোক।।
আমরাও সেই খুব ভোরবেলা, ঘুম থেকে উঠে বসি,
রাস্তায় জল, নেটওয়ার্ক আর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন,
ফোনে চার্জ নেই, আপলোড হবেনা শোক,
কখন ভাববো কত পরিবার আজ ছিন্ন।।
প্রিয় শহর আজ শ্মশান, কবরখানা,
শয়ে শয়ে গাছ শুয়ে আছে নিশ্চুপে
কত গল্পের সাক্ষী ছিল সবাই, তবু
শোকসভা নেই, গাছেদের মৃত্যুতে।।
মহামারীতেই ছিল, শুনশান কলকাতা
গুজব ভেবেই উড়ে যায় সব সতর্ক বার্তারা।।
ত্রাণের চিঠি জমা পরে ভাঙা ছাদে,
বৃষ্টির জলে ভেসে যায় বই পাড়া।।
আমার শহর মন ভালোর গল্প ও বলে,
তিন মুঠো ভাতের, দু মুঠো পাঠায় ত্রাণে,
খোঁড়া হয়ে পড়া ইলেক্ট্রিকের খুটিও,
রাত জেগে থাকে মোমবাতিদের ঘ্রানে।।
প্রকৃতির তো উত্তর দেওয়ারই ছিল,
সব ভুলে গিয়ে, শক্ত হাতে ধরো হাল,
এ দুঃসময়ে, প্রার্থনা শেখো, যীশু আল্লা ভুলে,
আর জানো কারোর ওড়েনা ঘরের চাল।।
Comments
Post a Comment