সহনীয়



এক লাখি দু লাখি রূপকথার মত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে অন্য হাতে হাত আর অন্য চোখে চোখ রেখে, অনির্বান চলে যাওয়ার পর একেবারে বিপদজনক বাড়ি হঠাতি ভেঙে পড়ার মত অবস্থা হয়েছিল মিতুলের জীবনটার…ঠিক যেন টয়ট্রেনের লাইনে বনগা লোকাল চালানোর মত…এলোমেলো…
তারপর অনেক দিন পর সেই লাইনে টয়ট্রেন ফিরে এলেও…বাজার মন্দা…ঠিক যেন ঝন্ঝাট সরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো পশ্চিমবঙ্গীয় পাহাড়…যাই হোক…এ মন্দার সময়ে নানা প্রেম অপ্রেমের গল্প কিংবা কবিতা কিংবা ফিলোসফিকাল বই পড়ে নিজেকে সামলেছে মিতুল…আর সেই শাহরুখ খান রূপী (Dear zindegi- Jahangir Khan) মনের ডাক্তারও খানিকটা সামাল দিয়েছিল মিতুলকে…  তবু এরই মধ্যে প্রেম যে এক্কেবারে পায়নি বা হয়নি তা নয়… (কপিবুক মানসী ছিল্লার না হলেও… ফরমালিটির খাতিরে সুন্দরী বলাই যায় মিতুলকে…)
কিন্তু তাদের সবাইকেই  কেমন যেন অসহনীয় লাগত মিতুলের… মন তো দূরের কথা চোখ মুখ না দেখেই তারা শুধু কী পড়ে আছ…?কোথায় কোথায় তিল আছে ? জানতে অধিক আগ্রহী হয়ে পড়ত…ফলে শরীর মনের বর্ডারে দাঁড়িয়ে সব হিসেব গুলিয়ে যেত মিতুলের…দিনের শেষে প্রিয় প্রাক্তনের সোশাল মিডিয়ার দরজায় মুখ থুবড়ে পড়ত মিতুল…
তার জন্য পৃথিবীর কোনো কোণায় কারো অপেক্ষা নেই………

ঠিক এই সময়… পাঁচ ডিগ্রী টেম্পারেচরে ওল্ড মঙ্কের শিশি হাতে পাওয়ার মত মিতুলের পাশে এসে দাঁড়ায় রিয়ান… থুরি বসে …

মন্দার দার্জিলিঙের পাহাড়ের কোল ঘেষা একটা ছাদখোলা মায়াবী আলো মাখা রেস্তোরায় একলা বসেছিল মিতুল…তারা গুনছিল বোধহয়…হঠাতি একটা ছেলে ওল্ড মঙ্কের শিশি আর গীটার নিয়ে চেয়ার টেনে বসে ওর পাশে…মিতুলের স্যান্ডুইচে অঘোষিত শেয়ার… মিতুলের চোখ মুখ অসহনীয় রিয়্যাক্ট করার আগেই মিতুলের প্রিয় একটা গান ধরল রিয়ান…তারপর সারারাত একের পর এক মিতুলের প্রিয় গান…ভুলিয়ে দিয়েছিল স্যান্ডুইচ গুলো কার ছিল আর ওল্ড মঙ্কের শিশিটাই বা কার ছিল…মায়াবী আলো হাওয়ায় দুটো একলা রাস্তা মিলেছিল… গ্লাসের চিয়ার্সের শব্দটা কেমন 'সহনীয়' শুনিয়েছিল…
এ আকাশের নীচে অপেক্ষার গল্পেরা এভাবেই মিলে যায়… <3 :)

Comments

Popular posts from this blog

Sunday_Motivation... 🌻

নববর্ষ 🌸

অলস দুপুর