Posts

Showing posts from December, 2016

পুতুল-কথা

আমি একটা পাথরের রঙীন পুতুল..গা টা শক্ত হলেও পা দুটো ল্যাতপ্যাতে..তাই এক জায়গায় বসালে..পা ঝুলিয়ে চুপ করে বসে থাকি..ভালোই ছিলাম..মধ্য কলকাতার এক কাঁচ ঢাকা দোকানে..বন্ধুবান্ধব নিয়ে..নিজের খুব কাছের মানুষটার পাশে পা ঝুলিয়ে বসে ছিলাম..আমায় আবার একা কেনা যায়না..আমার সঙ্গীনীকেও কিনতে হয়..তাই একা হওয়ার ভয় বিলকুল ছিলনা.. এরপর একদিন...সেদিন বছরের প্রথম দিন..ভীরে ঠাসা শহর..একটা মেয়ে এসে দাঁড়াল দোকানের সামনে..আমাদের মতই মিষ্টি..পার্থক্য এই যে..সে কথা কয়... আমাদের দেখে সে তো আত্মহারা..এটা ওটা সেটার পর আমাদের দুটিকেই পছন্দ হল..কাগজে মুড়ে ব্যাগে চালান হওয়ার আগে শুনেছিলাম..জোড় ভেঙে মেয়ে পুতুলটিকে উপহার দেওয়ার ইচ্ছা...আমার ওনার তো বেজায় মন খারাপ..আমারও..তবু জানাতে পারবনা..সেদিন থেকে ওই তো আমাদের মালিক..তাও আবার অত মিষ্টি মালিক..নাহ মালিকটা খারাপ শোনায়..ধরি ওর নাম রিয়া...তারপর ওর বাড়ি এলাম.. আমাদের ছবি তুলে..আদরে মুড়ে..শোকেসে টুপ করে বসিয়ে দিল...খেয়াল করলাম..দুপুরের খুশিটা আর নেই রিয়ার.. বেশ কিছুদিন পর..আমার পাশের জনকে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম বেশ দোটানায়..কথা ছিল যাকে দেবে..সে আর রিয়া এক হয়ে গেলে.

শীত ম্যাজিক

আজকে হঠাত্ ভোরেরবেলা.. আমি যখন স্নানের দিকে.. হঠাত্ দেখি তুইও ঠিক আমার পাশেই আলতো করে আবার দুচোখ কচলে নিলাম.. তবুও তুই আমার পাশেই.. একলা আঙুল আমার আঙুল জড়িয়ে আছে.. ছাড়িয়ে নিয়ে স্নানের ঘরে চলে গেলাম.. ফিরেও দেখি তুই ওখানেই.. সূয্যিটা আজ ভীষণ অলস.. তুইও যেন ওরই মত.. দুষ্টুমিটা মাথায় এল.. ফিস ফিসিয়ে ভালোবাসি বলেই দিলাম কানে কানে তাইতো সেদিন বলেছিলাম শীতকালটা ম্যাজিক জানে...❤️

অভিযোগ

-জন্মদিনটা ভুলে গেলি....? -শোন না মা কাল লুচি করেছিল.জিজ্ঞেস করেছিল তুই করতে পারিস কি না?? -ভারী তো অফিস..লেডি বসের টোন্ড লেগ দেখে প্রেমে পড়ার দিনটাও ভুলে... -এই ধর ঐ টোন্ড লেগ হেঁটে এসে প্রোমোশন লেটার দিল... -লাস্ট স্যাটারডে বললাম একটু কেনাকাটা...নাহ..ওনার ফুটবল ম্যাচ... -আচ্ছা এই স্যাটারডে..শাস্তি..ভীষণ ঝাল ফুচকা.. -আমি তো পুরনো..হাত ধরতেও নেই.. -পরের শীতে পুরুত ডেকে হাত ধরব.. -অন্য ছবিতে কমেন্ট..আমার বেলায় শুধুই বুড়ো আঙুল... -তা হানিমুনটা দেশ না বিদেশ??? -অসহ্য..এভাবে থাকা যায়না সাথে.... তারপর অনেকটা স্তব্ধতা..দুজোড়া বুজে যাওয়া চোখ... -এভাবে থাকা যায় তো.....?? -......................... <3

গোপন আস্তানা

শীত রোদের একটা গন্ধ থাকে..যে গন্ধে কুয়াশার ওম সরিয়ে জেগে ওঠে আমার শহর..ঠিক যেমন তোর চুলের গন্ধ আমার শীতঘুমকে শিথিল করে... ল্যাম্পপোস্টের একলা আলোয় কুয়াশা মিশে আমার শহরকে মায়াবী করে..ঠিক যেমন তোর রূপকথা মাখা চোখটাকে কাজল মায়াবী করে দেয়... পড়ন্ত শীতেল রোদ্দুরটা পশ্চিম মুখো বাড়িগুলোকে ছুঁয়ে যায় আলকোচে..ঠিক যেমন বইমেলার স্টলে শ্রীজাত কিংবা অনুপমের ছলে কবিতার অন্তরালে তোর আঙুল ছুঁয়ে ফেলি.. এভাবেই শহর আর তুই মিশে তৈরী হয় আমার গোপন আস্তানা... <3

মনখারাপ

শীতের একটা বিকেল দিবি আমায়?? কিছু কথা বলার আছে তোকে... একলা খোলা বইয়ের পাশে পাশে.. মেঘ জমেছে আলতো অভিমানের.. আলতো হেসে ঠোঁট ছোঁয়ালেই ঠোঁটে বলব ফিরে,হয়নি কিছু আমার..... তবুও যদি হাতটা চেপে ধরিস মনের চোখে আমার চোখে দেখিস আজ ও আমি লুটিয়ে যেতে রাজী... হাজার বছর একলা যেতেও রাজী..........

অলস দুপুর

শীতের এক দুপুর,দোতলার বেতের দোলনাটায় দুলতে দুলতে রিম আজ একটু বেশিই উদাস..দু চোখ সবুজ মাঠে রেখে মন পিছিয়ে যায় down the memory lane. ছোটোবেলা থেকেই মেয়েটা একটু  egoistic আর অনেকটা emotional...রান্নাবাটি খেলার মত প্রিয় বন্ধুর খেলা হত ছোটবেলায়,এটা আমার এটা তোর..তা নিয়েই কত রাগ,অভিমান,আর অনেকটা মন খারাপ...সে সব তো ছেলেখেলা..মন খারাপের পাতা ওল্টালে ভেসে ওঠে একটা মুখ..ছোটবেলার ভালোলাগা..ঐ পাতাটা আজ বড্ড আবছা..তবু মনে পড়ে ছোটবেলার অনেক চোরাচমক আর আনমনাভাব..পৃষ্ঠা উল্টে যায়..নতুন স্কুল,নতুন বন্ধু,নতুন proposal ,আর নিজের ভালোলাগাকে টিকিয়ে রাখার তাগিদ এই সবের মাঝে জীবন তখন মিষ্টি যন্ত্রণা..আলাপ "দিপু"- র সাথে..পথের ওঠাপড়ায় দুজনের কাছে আসা..তারপর পৃষ্ঠা বদলেছে বদলায়নি বন্ধুত্বটা আর খুনসুটিরা.. নতুন অধ্যায়.. college..  প্রথম দিন মনে হয়েছিল এখানে তিন বছর????? I m p o s s i b l e.......... তবু.... মনে ভেসে ওঠে কয়েকটা নাম.... আর...কলেজ  কেটে প্রথম সিগারেট...বা হেদুয়ার কোনো গোপন গলিতে চুপকথা..কিংবা পড়া শেষে নিতুকে (নিতুশ্রি) bye বলে 201 এর জন্য একলা অপেক্ষা... তারপর... university......

তোর জন্য

ছেলেটা তো আমার থেকেও ugly কীভাবে তুই বাসলি ভালো পাগলি? হয়তো কিছু গান্ধী ছাপা কাগজ আছে.. ও ও কী তোরই মত স্বপ্ন নিয়েই জীবন বাঁচে?? হয়তো তো তোকে ঘোরাবে ও বিদেশ বিভুই. বলবে কী সে আমার মত?এক ছুটে চ ময়দানে শুই... হতেই পারে নতুন স্বপ্নে বাঁধবি তোরা সুখের ঘর... থাকবে কী ওর চাবির রিং এ তোরই নামের আদখখর...? জন্মদিনে অনেক দামী উপহারে.. মুখ ঢাকবে আমার দেওয়া 'নহন্যতে'. তোর ভাবনায় ভিজছে প্রতি রাতের বালিশ. দেখিয়ে দিবি ঐ তিলটাও??এটাই মনের গোপন নালিশ... তোকে ছাড়া একলা আমার মন.খারাপের অলিগলি... তোর স্মৃতিতেই ঢাকছে ধীরে আমার মনের শহরতলি...............

ছেঁড়া পাতারা

হাত ধরতে ভুলে যাওয়া একজনকে... 💔 রোদ পালানো বিকেল মানে এখন শুধুই ব্যস্ততা. তাইতো হঠাত্ খুব অচেনা চেনাশোনা রাস্তাটা. হাতের ওপর হাতের ছোঁয়া এখন শুধুই রূপকথা. আড়াল পেলেই নিস্বতারা জড়িয়ে ধরে চুপকথা. অপেক্ষারা গলির মোড়ে,কিংবা রাতের বালিশে. আটকে গেছে লাল ঘুড়িটা মন খারাপের কার্নিসে.. কৃষ্ণচূড়া লালও হবে..হাসবে শিশির দূবঘাসে.. নিবিড় হয়ে শুধিয়ে নিস... "তবুও পাশে থাকবে সে?"

সেলফি

সকালবেলা জানলা খুলতেই ⛅️ ঝেপে বৃষ্টি এল..💦💦 রাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল জানলায়.. অয়ন অফিস ট্যুরে দিল্লিতে.✈️ এইরকম অবেলায় বৃষ্টিতে কাছের মানুষটাকে খুব মিস্ করে রাই..😒 আগে বৃষ্টি এলে রাই তাকে মেসেজ করত..📲 রাই- "একটা সেলফি পাঠা না রে..." 😍 সে- "কী সব আবদার! পারবনা এখন.." রাই- 😞 এসব হঠাত্ মনে পড়ল..এখন আর রাই ছেলেমানুষ না.তবু পুরনো কথাগুলো মন ভারী করছিল...🙍 হঠাতি  ফোনটা ভাইব্রেট করল..📱হাতে তুলতেই whatsapp এ অনেকগুলো ইমেজ দেখতে পেল রাই..😍 সেলফি... অয়নের 🙇☔️... দিল্লির রাস্তা..ওখানেও খুব বৃষ্টি..💦💦 রাই -😍😊 অয়ন- "তুমিও পাঠাও..দেখতে ইচ্ছে করছে!"☺️ বাইরে বৃষ্টিটা বোধহয় আরো বাড়ল💦💦💦💦💦💦💦💦💦💦💦💦

সেদিন

এরকমই এক বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যে...☁️⚡️💦💦সারাদিনের বৃষ্টি একটু  ধরতেই হাতে হাত ধরে বেরিয়ে পড়েছিল ওরা...কিন্তু পথে আবার বৃষ্টি💦💦 অন্ধকার রাস্তা,তুমুল বৃষ্টি,একটা ছাতা... আর ওরা..🌚💦💦☔️👫 প্রকৃতি যেন নিজের হাতে এঁকে দিয়েছিল এক স্বর্গীয় ছবি..বাকি রূপকথার সাক্ষী ছিল একলা ছাতা... বৃষ্টি থেমেছিল...বাকি রাস্তাটা চুপ ছিল দুজনেই..বাড়ি ফিরে whatsapp- রাই- ❤️ সে- " ashiqi 3" 💏 রাই- নাহ্..আমি tragedy চাইনা... কাছেই কোথাও একটা বাজ পড়ল..চটকা ভাঙল রাই-এর.. এখন তো সে tragic গল্পেরই নায়িকা.. রেডিও এ গান হচ্ছে... "এক আকেলি ছত্রি মে যব্ আধে আধে ভিগ রহে থে...☔️💔"

রবি-প্রেম

স্কুললাইফ মাংস ভাত,হোমওয়ার্ক,সানডে সাস্পেন্স... কলেজলাইফ মাংস ভাত, ছাদের ওপর তারা ভরা আকাশের নীচে লুকিয়ে তোর সাথে ফোনে কথা.. চাকরীলাইফ মাংস ভাত,তোর সাথে ইভনিং শো... ম্যারেডলাইফ মাংস ভাত,পরিবার,আর একটু আলসেমি... ক্যালেন্ডার বদলায়,রং বদলায়,সম্পর্ক বদলায়,বদলায়না শুধু বাঙালীর রবিকথা..(মাংস ভাত) 😋🍗

আম-কাহিনী

ধর্মতলার ট্রামলাইনটার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ই গন্ধটা নাকে এল অরুপবাবুর...পাকা আমের গন্ধ..এবছরই রিটায়ার্ড হয়েছে..খুব একটা বেরোনো হয়না আর..আজ একটা জরুরি কাজে আবার একবার কলকাতার ব্যস্ত রাস্তায়..কাজ মিটে গেছে..গন্ধটা নাকে নিয়েই বাস ধরলেন অরুপবাবু..গন্ধটা পুরনো কথা মনে করিয়ে দিল..বাসের জানলায় চোখ রেখে হঠাতি তাকে মনে পড়ল..তখন অরুপবাবু ক্লাস সেভেনে..বন্ধুদের সাথে গরমের ছুটিতে পাশের পাড়ায় রায়চৌধুরী বাড়ির আমচুরি তার রোজনামচা...কাঁচা হোক আর পাকা..স্বাদে অতুলনীয়..ভালোই চলছিল..হঠাতি একদিন গাছ থেকে পড়ে এক যা তা কাণ্ড..বন্ধুরা সব পগারপাড়.. বাড়ি থেকে বেরিয়ে এল..একটি ফ্রক পড়া মেয়ে..তার থেকে একটু ছোটই হবে...বলল- "কী বাবা কে ডাকব??বন্ধুরা সব পালাল তো??ভাল্লুক আর দুই বন্ধুর গল্প পড়নি??আজ টের পেলে তো??এবারের মত ছেড়ে দিলাম..আর যেন এ গাছের কাছে..."বলে থেমেছিল.. অরুপবাবু ও সলজ্জ দৃষ্টিতে স্থান পরিত্যাগ করেছিলেন..আর কখনই ঐ গাছতলায় যাননি...তারপর আর সেই মেয়েটির সাথেও দেখা হয়নি... বহুবছর পর আবার দেখা হয়েছিল রায়চৌধুরী বাড়ির ড্রইংরুমে..অরূপবাবুর বিয়ের পাকা কথার দিন..আর ফ্রক না লাল শাড়িতে সুসজ্জিত

ইলিশ...

শ্বশুরবাড়িতে আজ প্রথম ইলিশ রান্নার দিন রিন্টির...🎏 বাড়িতে যারা কুটোটা নাড়েনা..তাদের কাছে এ দিনটা একরকম অগ্নিপরীখখাই বটে... সবাইকে পরিবেশনের পর..সবার দিকে একদৃষ্টে চেয়েছিল রিন্টি..ঠিক যেমন মাধ্যমিকের রেজাল্ট এর সময় ওয়েবসাইটে বাফারিং এর দিকে চেয়েছিল... সবাইকে বেশ তৃপ্ত লাগল.. শ্বশুর বলল- "উফফ্ অমৃত" শাশুরি হেসে বলল- "তবে আমার ছুটি...কি বলো...?" রিন্টি খুশি হলেও..চোখের কোণে জল এল..বাড়িতে প্রথম ইলিশ রান্না মনে পড়ে গেল..মা বাবাকে তৃপ্তি করে খেতে দেখে যখন নিজে মুখে তুলেছিল...একটুও ভাত খেতে পারেনি..বাবা নিজে ডিম ভেজে এনে ভাত খাইয়ে দিয়েছিল...চোখের জল মুছিয়ে বলেছিল... "একদিন ঠিক শিখে যাবি..."

আরেকটা ছেঁড়া পাতা

আড়াল থাকা একজনকে... :) কতদিন ভেবেছি যদি জৈষ্ঠের দুপুরে পাঁচটাকার অরেন্জ আইসক্রীম কিনে দিয়ে নাই বলিস ভালোবাসি... ভালোবেসে লাভ কী..? যদি শ্রাবণের অন্ধকারে কাক ভিজে নাই বা বলিস ভালোবাসি... ভালোবেসে লাভ কী..? যদি শারদীয়া সকালে অন্জলির পর তোকেই না দেখি... ভালোবেসে লাভ কী..? যদি শীতের ভোরে লেপের ওমে জড়িয়ে থেকে নাই বলিস ভালোবাসি... ভালোবেসে লাভ কী..? যদি বসন্তে পাশাপাশি ভুট্টামাঠে নাই হাটি... ভালোবেসে লাভ কী..? যদি রাতের কার্নিশে কপাল জুড়ে চুমুই না আঁকিস... ভালোবেসে লাভ কী..? প্রতিবার খেলাঘর ভাঙে... আমি ভাবি... তোকেই যদি না পাই তবে ভালোবেসে লাভ কী..? আবোল তাবোল ভেবেই চলি.. উত্তর নেই একটাও.. সাদা কালো দুপুরগুলোয়.. নীরব থাকে ফোনটাও... অঙ্ক খাতার শেষের পাতায় তোরই নামের আঁকিবুকি... এফ.বি তে তোর প্রোফাইলটাতে এক কী দুবার উঁকি ঝুঁকি.. হঠাত্ করেই চোখ পড়ল ঘরের কোণের আড়ালটাতে.. তাকিয়ে দেখি সেই চেনা চোখ.. আজও আমার অপেক্ষাতে.. নীরব হল প্রশ্ন যত.. আয়নার গায়ে জলের দাগ... বুঝতে পেলাম ভালোবেসে চুপ থাকায়ও অনেক লাভ...❤️

তোর কারণ

কতদিন খোলা জানলার পাশে বসে কালো আকাশে নীল ল্যাজআলা লাল ঘুড়িটাকে উড়তে দেখিনি...আজ দেখলাম.. কতদিন নখের কোণে রংচটা নেলপলিশ বদলাইনি..আজ রং ভরলাম নখে... কতদিন তোর বুকের সমান্তরালে থাকা বোতাম আটকাতে...চোখ নামিয়ে বলিনি- "ভালোবাসি".. আজ বললাম... তারপর শেষ বিকেলে কার্নিশে রাখা ভেজা মনটা তোর রোদ্দুরে শোকালাম... ঠিক তখনই সেই বোতাম আটা সার্টের বাদিকের বুকপকেট থেকে একঝাক রঙীন প্রজাপতি উড়ে গেল...💐

স্বপ্ন

সুগার, প্রেশার, ডাক্তার, বদ্যি মিলে হালদারবাবুর আটোসাটো অবস্থা..তাই রবিযাপনও হয়না ঠিকঠাক... লাউ, পেপে এসে চিকেন মটন কে প্রায় রিটায়ার্ড ঘোষিত করেছে..ব্রেকফাস্ট দেখেও মনে আসেনা...আজ সানডে না মনডে.. তবু আজ টেবিল দেখে মহা খুশী হালদারবাবু.ঘুগনীর বাটির পাশে রাখা ফুলকো লুচিগুলো যেন..তার জন্যেই গান গাইছে... "পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া...ডরতা হ্যায় দিল" সবে নায়িকার হাত ধরতে যাবে...অর্ধাঙ্গিনী এসে ব্যাঘাত ঘটালেন..."এত হেসে হেসে কার স্বপ্ন দেখছেন শুনি...?এই বয়েসে ছেলে মেয়ে সামলে সতীন সামলাতে পারবনা এই বলে দিলাম...টেবিলে স্টু রেখেছি..ব্রেকফাস্টটা করে নেওয়া হোক..." হালদারবাবু নির্বাক... :O

পাশে থাকার রোজনামচা

পুবের নরম রোদ্দুর তোমার মুখে..আধবোজা চোখ খুলে পাশে তাকিয়েই তুমি...বন্ধ চোখটা টান করে খুলে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম..."ছেড়ে যাবে না তো?" তুমি মুখ ঘোরালে..😥 দুপুর বারান্দায় কাকটার চিত্কার..তুমি বিরক্ত..ভুরু টা কুচকাতেই..আমি বললাম.. "ছেড়ে যাবে না তো..?" তুমি দিব্য কাক তাড়াতে গেলে..😥 বিকেলের চায়ের প্রথম চুমুকে..তোমার মুখে আমেজের ছায়া.. বললাম "ছেড়ে যাবে না তো..?" তুমি চায়ের প্রতি মনোযোগী..😥 রাতের বিছানায় কপোট রাগ দেখিয়ে তোমার দিকে পিঠ দিলাম.. তবু ডেকে তুললে..আমার লেখার ডায়েরী দেখিয়ে বললে.. "এর ওপরও রাগ না কী..?" মুখ ঘোরালাম..ঘুমের অভিনয়.. তুমি বললে... "আজ তবে আমিই লিখি..." সকালে ডায়েরী দেখলাম... "ঘুম ভাঙা ভোরে পাশে থাকব..কাক ডাকা বিষণ্ণ দুপুরে পাশে থাকব..চায়ের চুমুকে পাশে থাকব...আর কবিতার ডায়েরীতেও পাশে থাকব..."😍 পুবের নরম আলো এসে পড়ল আমার ডায়েরীতে❤️ ছোঁয়া পেলে কবিতাও প্রাণ পায়...💖

ভালোথাকা

কুমোরটুলি পার্ক,জায়েন্ট হুইলটা সবে স্টার্ট নিয়েছে..গহন চোখ বুজে নিয়েছে.. "তোর সাথে কোনোদিন বেরোবোনা..এভাবে কেউ ভয় দেখায়,বললাম একা যা..আমি ভয়..." কিছুতেই যখন হয়নি..অগত্যা চোখ বুজেছে গহন.. পাশে বসে উদিতা গেয়ে চলেছে.. "সূর্য ডোবার পালা..আসে যদি..."..অস্তমিত লাল সূর্যটাকে দেখলে এটাই গায় ও... সেদিনও গাইছিল..আজও গাইছে...চোখ মেলল গহন..আজ দুজনেই মাটিতে.. জায়েন্ট হুইলে ওদের একমাত্র মেয়ে উশ্মিল... ডেকেই চলেছে.. "পা......পা...." উদিতা..গহনের দিকে তাকিয়ে বলল.. "দেখ ভীতুরাম..মেয়েটা তাহলে তোর মত হলনা..কী বল..?" মৃদু হাসল গহন..😊 তৃপ্ত...☺️

শারদীয়

ছেলে বিদেশে সেটল্ড..ঝামেলাহীন জীবন ভালোই কাটে..রায় দম্পতির..তার ওপর উপরি পাওনা..পন্চমীতে ছেলে বৌমা আসছে দাদুভাইকে নিয়ে...এহেন এক সুখ সকালে...বীরেন্দ্রবাবুর শারদীয় ডাকে ঘুম ভাঙল.. অনিমাদেবীর..বিছানার পাশে রাখা টেবিলের চা এ চোখ গেল..সব্বনাশ..এত সুন্দর গলা শুনে স্বপ্ন দেখছেন না কি ভাবলেন..দেখলেন সবটাই সত্যি..দিলীপ বাবু বললেন- " কী গীন্নী..অবাক না কি?" "এ কী দেবীপখখের সূচনা??" অনিমা দেবী বিস্মিত... অনিলবাবু- "তা গিন্নী..সুখ কি শুধু বীরেন্দ্রবাবুই দেবে..আমিও নয় দিলাম..আর  দেবীপখখো তো..বছর তিরিশ আগেই  শুরু হয়েছিল..আমার জীবনে.. তাই আজ একটু চায়ের কাপে.. শুভ শারদীয়া... জানালাম" কানে "জাগো দুর্গা" ডাকটা বড় মিষ্টি লাগল... ভালোবাসা বুড়ো হয়না❤️

প্রেম vs বৌ

শনিবার ,কাজের চাপ কম..অফিসের জানলা ঘেসে দাঁড়ালো আলাপ..কাঁচ ঢাকা জানলার পর্দা ঠেলে জ্যামিতিক আকারের রোদের টুকরো এসে পড়ছে টাইলস এর মেঝেতে...স্যুট বুট টাই এ নিজেকে বেমানান লাগে আলাপের..মনটা আজও কর্পোরেট হতে পারলনা...শব্দটা হঠাতি পুরনো কথা মনে করালো..সেদিন মেঘলা বিকেলে গঙ্গার পাড়ে ময়ুরী বলেছিল-কর্পোরেট হ..তোর এইসব ভ্যাদা কবিতা নিয়ে থাকলে ঐ সারাজীবন মিলিনিয়ম পার্কে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে গার্ডের বাঁশিই শুনতে হবে..তারপর অপেক্ষা করেনি ময়ুরী..কিন্তু জীবনের ধাক্কা কর্পোরেট করেছে আলাপকে..আজকের রোদ্দুরটা জয়ের রোদ..এক চিলতে হাসি আলাপের ঠোঁটে..কাল বইমেলায় আলাপের প্রথম উপন্যাস উদ্বোধন..বৌ এর আবদারে লেখা গল্পটা...প্রথম উতসর্গের পাতায় লেখা.. "আমার প্রিয় প্রাক্তন কে" এটাও বৌ এর আবদারে..☺️

ক্যালরি

লান্ছ হয়নি ঠিকমত..পেটে ছুচো দৌড়াচ্ছে...ভীর বাস...এমন সময় হঠাতি ফোনটা পকেটে বেজে উঠল আঁখির.অভির মেসেজ- "খেয়েছিস তুই?" রিপ্লাই দিলনা আখি... আবার বিপ বিপ... অভি- "তোর ডায়েটের য়্যায়সি কি ত্যায়সি..তুই আমার বাড়ির স্টপেজে নাম..তোর হচ্ছে!" আখির উত্তর - "😍" তারপর নামার পর জোর করে আখিকে খাওয়ায় অভি...খুনসুটি,আবদার,আদর মেশে ওদের মাঝে...অভি বলে- আদরে বুঝি ক্যালরি থাকে না?😉 অস্ফুটে "না" বলে ওঠে আখি...তারপর খেয়াল হয়..সত্যি আজ লান্ছ হয়নি..কিন্তু আজ কোনো মেসেজ ও নেই... আদরে বোধহয় ক্যালরি ছিল...💔

way to my heart

ঠিক  যেন এক মনের কথা.. আমারও খুব ইচ্ছে করে..আমি যখন অফিস ফেরত একটা কারোর অপেক্ষা থাক.. আমারও খুব ইচ্ছে করে.. রোববারের এদিক ওদিক একটা চেনা বাধন থাকুক.. আমারও খুব ইচ্ছে করে.. একটা খুব প্রিয় কাঁধে আমার চুলের গন্ধ থাকুক.. আমারও খুব ইচ্ছে করে.. মুঠো ফোনের গ্যালারীতে এক চেনা মুখ ভরে থাকুক.. আমারও খুব ইচ্ছে করে.. আলসেমির শীত দুপুরে একটা চেনা আদর থাকুক... একলা কোনো শীত বিকেলে ছাদ রেলিং এ দু কাপ কফি.. একটা কালো বৃষ্টিদিনে আমিও কারো অভিমানের কারণ... হয়তো সবই বালখিল্য...তবুও বড্ড ইচ্ছে করে.... <3