Posts

Showing posts from 2020

১১ই অক্টোবর 🌼

Image
 মাঝে মাঝে শেষ বিকেলে, মাস্কের নিচে লুকিয়ে পড়া শহরটার ব্যস্ত ফুটপাথের রেলিং ঘেঁষে এসে দাঁড়াই, খুব প্রিয় একটা নাম পেছনের কাচে সাটা একটা কালচে গাড়ি আমায় আগের সিগনালে ফেলে রেখে অনেকটা দূর এগিয়ে যায়, আমি থমকে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকি, উল্টোদিক থেকে, "আমি নারী, আমি পারি।।" স্লোগান দিয়ে এগিয়ে আসা মিছিলটার দিকে, মিছিলের প্রথম সারিতে আমার মায়ের অবয়ব খুঁজে পাই, কিন্তু আমায় দেখতে পাইনা কোনোদিন। কারণ আমি ঠিক মিছিলে হাঁটতে পারলামনা কোনোদিনই। পারি বলতে, একটু আধটু কলম ধরতে, ভালোবাসাহীন কিছু ধূষর মহাকাব্য লিখতে পারতাম আমি....একসময় ভাবতাম ডালহৌসির কোনো এক নির্জন পাহাড়ে, কিংবা চন্দ্রতালের পাশের বিস্তীর্ণ একাকী বরফ ঢাকা প্রান্তরে বসে অনন্তকাল ধরে ভালোবাসাহীনতার মহাকাব্য লিখব আমি। এহেন আমার গল্পে ভালোবাসা টিকে যাওয়াটা একেবারেই সিলেবাসের বাইরে। কিন্তু সে থেকে গেল, থেকেই গেল, যতবার ভেবেছি, খাটের লুকোনো পেরেকে আঁচল আটকে গেছে, ফিরে দেখেছি সে ধরে রেখেছে আঁচলের খুট, মহাকাব্য ছেড়ে হরোস্কোপের গোলকধাঁধায় রোজ রোজ নতুন ছোট গল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে, আমার খাতার পাতায়। তবু জীবনের প্রত্যেক অলিগলিতেই সে আমার হাতে খাতা

দেবীপক্ষ 🙏🏻

Image
 ছেলে বিদেশে সেটল্ড..ঝামেলাহীন জীবন ভালোই কাটে..রায় দম্পতির..তার ওপর উপরি পাওনা..পন্চমীতে ছেলে বৌমা আসছে দাদুভাইকে নিয়ে...এহেন এক সুখ সকালে...বীরেন্দ্রবাবুর শারদীয় ডাকে ঘুম ভাঙল.. অনিমাদেবীর..বিছানার পাশে রাখা টেবিলের চা এ চোখ গেল..সব্বনাশ..এত সুন্দর গলা শুনে স্বপ্ন দেখছেন না কি ভাবলেন..দেখলেন সবটাই সত্যি..দিলীপ বাবু বললেন- " কী গীন্নী..অবাক না কি?" "এ কী দেবীপখখের সূচনা??" অনিমা দেবী বিস্মিত... অনিলবাবু- "তা গিন্নী..সুখ কি শুধু বীরেন্দ্রবাবুই দেবে..আমিও নয় দিলাম..আর  দেবীপখখো তো..বছর তিরিশ আগেই  শুরু হয়েছিল..আমার জীবনে.. তাই আজ একটু চায়ের কাপে.. শুভ শারদীয়া... জানালাম" কানে "জাগো দুর্গা" ডাকটা বড় মিষ্টি লাগল... ভালোবাসা বুড়ো হয়না❤️ ------------------------------------------------- শনিবার ,সামনে পুজোর ছুটি, কাজের চাপ কম..অফিসের জানলা ঘেসে দাঁড়ালো আলাপ..কাঁচ ঢাকা জানলার পর্দা ঠেলে জ্যামিতিক আকারের আশ্বিনী রোদের টুকরো এসে পড়ছে টাইলস এর মেঝেতে...স্যুট বুট টাই এ নিজেকে বেমানান লাগে আলাপের..মনটা আজও কর্পোরেট হতে পারলনা...শব্দটা হঠাতি পুরনো কথা মনে করা

একলা বিকেল

Image
 একলা বিকেল, কার্নিশে এক ঘুম না ভাঙা মন, বইয়ের তাকে ভাইব্রেশনএ তোমার মুঠোফোন, অনিচ্ছাতেই এড়িয়ে যাবে হাজারটা রিংটোন, এরম ভাবেই শহর জুড়ে, নিরুদ্দেশ হয় মন।। নাম করা সব উপন্যাসের শেষের পাতায় জানো, দু মিনিটের নীরবতা লুকিয়ে; খবর রাখো? আজ ও তুমি এক ই ভাবে বসন্ত রং মাখো। শেষ বিকেলের লালচে রোদে, সেই চোখেই চোখ রাখো। বছর তিনেক পেরিয়ে এলাম তোমায় আমায় মিলে, আজ ও ভাবি, ঝড়ের আগে কোথায় তুমি ছিলে, মন খারাপের সব কালো রং ,মিশছে তোমার নীলে, কালকে যখন মোমের আলোয় গোস্বামী পড়ছিলে।। হাজার রিংটোন ডিঙিয়ে এসে, মন তোমায় খুঁজে পাক, অনিচ্ছাতেও আগলে রেখো, এই দু জোড়া হাত।। চিলেকোঠায় বৃষ্টি এসে, ভিজুক বই এর তাক, অগোছালো গল্পগুলো  মলাট খুঁজে পাক।।

বিশ্বাসঘাতকতার স্কয়ারফিট... 🌃

Image
এ শহরে ইতিউতি গজিয়ে ওঠা বহুতলের মত প্রতি স্কয়ার ফিটে একটা করে পরকীয়া গড়ে ওঠে রোজ। আমি বেসরকারি কোনো এক বাসের জানলার পাশের সিটে বসে পড়ে আসা বিকেলের আলোয় ওদের দেখি, আমার হেডফোনের শব্দ ছাপিয়ে কানে আসে ওদের কথোপকথন- 'এর পরের ফোন টা ঠিক কাল সকাল সাতটায় করব, তার আগে ফোন করার দরকার নেই,' অমুক রঙের সার্ট পড়ে, অমুক বাসস্ট্যান্ড আর তারপর অমুক রিসর্ট, অমুক কালো ঠান্ডা পানীয়র বদলে অমুক সাদা পানীয়ের আবদার...; কিংবা যে যার বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার আগে অটোর ব্যাকসিটে শেষ নিবিড়তাটুকু শুষে নেওয়া। আমি অবাক হয়ে দেখি,এই অতিমারীর সংকটেও মানুষ ভালোবাসছে, কিংবা ঠকাচ্ছে; বিশ্বাসঘাতকতা আর ভালোবাসার মাঝখানে ইদানিং আর কোনই পার্থক্য নজরে আসেনা আমার, শহরের অপ্রয়োজনীয় ফ্লাইওভার গুলোর মতোই ভালোবাসাও যেন নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়, সিঁড়ি বা লিফ্ট চেপে অনেক ওপরে ওঠার তাগিদে আর সময়ের অভাবে এখন ভালোবাসার অনেক মুখ, এক মুখ আর কতদিন ই বা সহ্য হয়। এখন তো ফ্লাইওভারের ও পৌরুষ পরীক্ষা হয়, ভালোবাসা তো তাও খুব ই সামান্য কেউ, তাই হয়তো সহজেই মুখ বদলে যায়। অবশ্য আমার কিন্ত অঢেল সময়, সন্ধ্যের মুখে আমি বাস থেকে নেমে আসি, সুনসান এলাকার মাঝের

मेरा कुछ सामान...💐

Image
ছেড়ে যাওয়া আর ছেড়ে আসার মাঝখানে একটা সরু চুলের মতো পাঁচিল আছে, খালি চোখে সচরাচর চোখে পড়েনা, তবু আছে। চলে যাওয়া বা চলে আসার কিছু আগের মুহূর্ত থেকেই তা টের পাওয়া যায়, কোথাও বা কারোর নিরন্তর ডেকে যাওয়া কে উপেক্ষা করে অপরজন এগিয়ে যেতে চায় অন্য  কোথাও বা শয্যাশায়ী ষাটোর্ধ বৃদ্ধ অনিচ্ছায়ও পরিজনদের সমস্ত প্রার্থনা কে দূরে ঠেলে এগিয়ে যায় অজানার দিকে, দু ক্ষেত্রেই কেউ ছেড়ে যায় আর অপরজন ছেড়ে আসে। ছেড়ে আসাকে আগাগোড়াই আমার অনেক বেশি আশাবাদী মনে হয়, কোনোদিন কারোর কোনো প্রার্থনা কিংবা কারোর কোনো ক্ষুদ্রতম থেকে যাওয়ার অনুরোধ কে ফিরিয়ে দেওয়ার মত দুঃসাহস হয়নি আমার, থেকে যাওয়াকেই জন্মদাগের মতো সত্যি মনে হয়েছে।। তবু দেখেছি, ছেড়ে যেতে, দুদিন আগেও কোনো কাগজী ফুলগাছের নিচে দেখা করেছি উপহার বিনিময় হয়েছে, কথা দেওয়া হয়েছে তারপর হঠাৎ ই হয়তো উপেক্ষার সাথে দেখা হয়েছে আর শ্রেয়া ঘোষালের রিংটোনের গলা টিপে নিয়ন আলো মোছা গলি বেয়ে নেমে এসেছে বিষন্ন সন্ধ্যা। আমি একলা ছাদে বসে আবৃত্তি করেছি কেউ কথা রাখেনি। ছায়াপথের দিকে চোখ রেখে ভেবেছি আমায় কিন্তু কথা রাখতেই হবে তারপর  নতুন সকাল এসেছে একদিন, দুটো বসন্ত পেরিয়েছে, আমি কথা

Sunday_Motivation... 🌻

Image
বেশ মনে পড়ে ক্লাস সিক্স এ পড়তে জাস্ট মনের ইচ্ছে বা কথা গুছিয়ে রাখতে গিয়ে ডাইরি লেখা শুরু করেছিলাম, তারপর কবিতা লেখা, ছোট গল্প এভাবেই কোনো চাহিদা ছাড়াই আস্তে আস্তে কবে যেন অনামী শিল্পী হয়ে উঠেছিলাম। যত বড় হয়েছি নিজের অনিচ্ছাতেই কখনো কখনো প্রশংসা পেতে ইচ্ছে হয়েছে, আর সময়ের পাল্লায় পড়ে মাঝে মাঝে লাইক কমেন্ট শেয়ার এর প্রত্যাশাও করে বসি, মন মত না হলে মন খারাপ, ডিপ্রেশন ও হয় বটে। তাই মাঝে মাঝে  ছুটির দিন পেলে আকাশ, হাওয়া কিংবা গাছেদের কাছে গিয়ে বসি, মন দিয়ে দেখি ওরা কাজ করেই চলেছে আমাদের জন্যই, লাইক কমেন্ট শেয়ার তো দূরে থাক, আমাদের সময় ই হয়না ওদের দিকে একবার তাকানোর, ওদের ডিপ্রেশন হয়না কোনোদিনই, আদি অনন্ত কাল এভাবেই কাজ করে ওরা। মন ভালো হয়, আমি ছোটবেলার ডাইরিটা বের করে আরো লিখতে বসি, আরো অনেক লেখা বাকি আছে যে।।

Dil Bechara 💐

Image
Dil Bechara... হ্যাঁ দিল বেচারাই বটে, এই যেমন মনের ভীষণ কাছের একটা গল্পের ওপর চিত্রিত এই সিনেমাটা মনের খুব কাছের প্রিয় মানুষটির সাথে কোনো থিয়েটার এ দেখার ইচ্ছে ছিল, হল কই, আসলে মন ব্যাপারটাই বড় বেচারা, কাজের চাপে, সমাজের চাপে, সেভাবে তাকে পাত্তাই দি না আমরা, তবু আমরা যারা টুকটাক ভালোবাসতে পারি, এই ছবিটা তাদের জন্য, আসলে আমাদের সবার ই প্রায় ওরম একটা ভাঙাচোরা, রংচটা, বিবাদী বাগ লেখা , অর্ধ জলে নিমগ্ন মন খারাপের আস্তানা থাকে, কিংবা থাকাটা খুব দরকার... যেখানে দাঁড়িয়ে মনে হয়, এইভাবেই কেটে যাক প্রত্যেকটা দিন, ট্রামের দ্বিতীয় কামরার শেষ জানলাটায় দাঁড়িয়ে যেন একজোড়া চোখ বলেই চলে, "এইভাবেই থেকে যাব আমরা, বল??" হ্যাঁ মন বেচারাই বটে, এই যে দেশ জুড়ে, পৃথিবী জুড়ে চরম মহামারীর মাঝে দাঁড়িয়ে যারা ভালোবাসছে, স্বপ্ন দেখছে, যেখানে মৃত্যু হাটু মুড়ে বসছে ভালোবাসার কাছে, যেখানে দাঁড়িয়ে দু একজন আমি চলে গেলে পাশের মানুষগুলো কিভাবে বাঁচবে ভেবে মৃত্যুকে অপেক্ষা করতে বলছে এই ছবিটা তাদের জন্যে।  দুর্ভাগ্যবশত  খুব কাছ থেকে ক্যান্সার বা রাজরোগ কে দেখার দুযোগ হয়েছিল জীবনে, চকচকে সোশ্যাল মিডিয়ার যুদ্ধ

#HashTagDeath

Image
মৃত্যু, मत , কিংবা death... সে আপনি যে ভাষায় যেমন ভাবেই বলুন না কেন, কি অদ্ভুত মন খারাপ মেশা, গম্ভীরএকটা শব্দ না?? ভয় করে যে সমস্ত শব্দে?? কি মনে পড়ে শব্দটা শুনলে?? ডিজিটাল স্ক্রিনের ওপর হঠাৎ একটা সরলরেখা, নাকি ওই স্যালাইনের শেষ বুদ্বুদটা? নাকি হঠাৎ করেই আপনার স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা একটা দুঃস্বপ্নের দিন?? Death is the cessation of all biological functions that sustain a living organism. Phenomena which commonly bring about death include aging, predation, poisoning, malnutrition, disease, suicide, homicide, drug intoxication, starvation, dehydration, and accidents or major trauma resulting in fatal injury. ভাবছেন এটা কি?? ওই যে শব্দটাকে আপনি খুব ভয় পান, google ওই ভয়টাকে মার্জিন টেনে ছোট করে লিখে দিয়েছে এইভাবে। Death!! search করেননি শব্দটা কোনোদিন?? সে কি?? এই কদিনে  nepotism, boycott, hashtag, ভারত চীন সীমান্ত, ৪৫ বছর আগের ইন্দোচীন সম্পর্ক সব সার্চ করে ফেললেন অথচ 2020র সবচে ইম্পরট্যান্ট শব্দ টা খুঁজে দেখলেন না একবার ও?? মৃত্যুর প্রকারভেদ, মৃত্যুর পরের সময়টুকু এইসব টাও সার্চ করাই য

মন ভালোদের গল্প

Image
মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বর্ণ বিদ্বেষ, জাতিভেদ সব মিলিয়ে জেরবার ভারত তথা গোটা বিশ্ব, দোষারোপ, অসহযোগিতা, গুজব, বাড়ছে পাল্লা দিয়ে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে বাড়ছে মনের দূরত্ব ভেঙে পড়ছে সভ্যতা সম্পর্ক আমাদের ভেতরের সবটুকু ভালো, গ্রাস করছে মন খারাপ। অনেক অক্সিজেন ঘুরছে চারপাশে, আমরা জানতেও পারছিনা, তাই সবার জন্য আজ কিছু মন ভালো খুঁজতে বেরিয়েছিলাম আমরা।। সঙ্গীতা আইয়ার। বড় হয়ে ওঠা কেরালার পালাক্কাড়ে। পেশায় একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সাংবাদিক। কিন্তু এর পিছনে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করেন একটি সংস্থার। ‘ভয়েস ফর এশিয়ান এলিফ্যান্ট সোসাইটি’। ক্যালিফোর্নিয়া কেন্দ্রিক এই সংস্থা লড়াই করে ভারতে হাতির অধিকার নিয়েই। ছোট থেকেই কেরালার বিভিন্ন মন্দিরে ভগবানরুপী হাতিদের প্রতি ভক্তদের শারীরিক অত্যাচার তাকে নাড়া দিত, জীববিদ্যায় স্নাতক ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর এর পরও  এই বিশালাকার প্রাণীটির কষ্ট তাকে সমানভাবেই নাড়া দিতে থাকে, তথ্যচিত্র বানিয়ে ফেলেন  'Gods in Shackles' ।এই তথ্যচিত্র প্রকাশের মধ্যে দিয়েই শুরু হল লড়াইটা। তাঁর কাজে সাড়া দিলেন বহু মানুষ। সরব হলেন এই পাশবিকতার বিরুদ্ধে। ২০১৪

নির্ঝঞ্ঝা 🌪️

Image
কবির ভাষায়, "দূরে কোথাও প্রেম হয়েছে, আমরা ভাবি সাইক্লোন।।" ঠিক তাই, গত ২০শে মে -র আগে আমাদের মতো আপামর সাহিত্যপ্রেমীর কাছে সাইক্লোনের মানে বলতে শ্রীজাতর কবিতার পঙক্তিই মনে আসত। আর affected কথাটা শুনলে হয়তো বা মনে পড়ত কবির সিং ছবির সেই লাইন টা; .... aur agar usko kuch bhi hua na; toh i'll be the most fucking affected .. হ্যাঁ এইভাবেই আজ আমরা ভীষণ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছি, শুধুই আমার চারপাসটুকু নিয়েই সারাদিনের ব্যস্ততা, তাই তো আমফান চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর ও আমরা আমাদের কারেন্ট, আমাদের জল, আমাদের নেটওয়ার্ক, আমার ক্ষতি, আমার কি কি ক্ষতি হতে পারত, কিংবা আমার কিভাবে চলবে নিয়েই এখনো ব্যস্ত।। আমিও খুব একটা ব্যতিক্রম নই।। তবু বাড়ির নিরাপদ  ছাদের নিচে বসে আছি বলেই,  আপামর বিপর্যস্ত মানবজাতি, বন্যপ্রাণী আর উদ্ভিদজাতির প্রতি নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় একফোঁটা সমবেদনা জানানোর ইচ্ছে হল।। হাওয়া অফিস তো, এমন ই গুজব রটায়, টিভি রেডিওয় বেয়ে আসে সতর্ক বাণী, কোলের ছেলেটা কাঁদলে পেটের টানে, ঝড় কে আমি টুঁটি টিপে দিতে জানি।। এমন ভাবেই কেটে যাচ্ছিল বেশ, ঝড়বাদলের মিথ্যে প্র

ঠাকুরের জন্মদিনে 💐

Image
নমস্কার। আমার নাম... আজ বরং ছদ্মনাম টাই ব্যবহার করি, আমি মোহনা চ্যাটার্জি, আজ পঁচিশে বৈশাখ, আমার প্রাণের ভীষণ কাছের এক ঠাকুরের জন্মদিন, মা অনেকসময় আমাকে বলে, পাড়ার অন্য মেয়েদের মতো আমি ফল কেটে , নকুলদানা সাজিয়ে ঠাকুরকে পুজো দিনা, কিংবা প্রদীপ জ্বেলে, নিয়ম মেনে সন্ধেটাও না, একেবারে দিনা তা নয়, তবে বেশিরভাগ টাই কালেভদ্রে, আমার বাড়ির মূর্তিগুলোর ও মনে নেই শেষ ঠিক কবে আমি ওনাদের পাত পেরে খেতে দিয়েছিলাম। সে যাই হোক, আজকের দিনটা আমার সত্যি পুজো মনে হয়, ভোর থেকেই নাকে একটা ধুপ জুঁই ফুল মেশা গন্ধ, আমার সঞ্চয়িতার ভেতর ও পাই এই গন্ধটা। এই ঠাকুরের কাছে আমি মাঝে মধ্যে গল্প করতে বসি, একা। এই যেমন আজ বসেছি। আর খুব সুক্ষভাবে ভেবে দেখেছি, আমার মনের একদম অন্ধকার কোনগুলোর হদিস শাহরুখ খান নয়, এই ঠাকুরের কাছেই থাকে।। ওনার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই, ওনাকে না হারমোনিয়ামে বাধা যায়, না গিটারে, না সময়ে না মনে। বাঁধন আমার ও খুব একটা ভালো লাগেনা। চাকুরিজীবি, আধুনিকা, রুচিশীল, সংস্কৃতি মনস্কা এক নারী, আমি। যে প্রেম কে চিৎকার করে স্বীকার করতে জানে, গোলাপের চেয়ে রডোডেনড্রোন বেশী পছন্দ যার,যে পিছনে ফেরা পছ

মহারাজা তোমারে সেলাম।।🌸

Image
ওহে, গবেষক, শুনলাম নাকি আছড়ে পড়েছে মহামারী, আজ্ঞে মহারাজ, মহা নয় আর, হু এর ভাষায় এখন অতিমারী।।/ আল্লা, ভগবান, যীশু সব ঘুমলো নাকি শেষে? আজ্ঞে,  ডাক্তার, বদ্যি আছে, ওরাই তো এখন ভগবান সব দেশে।।/ প্যানডেমিকের চীন ই নাকি আঁতুড়?? কি যে বলেন নাটের গুরু ওই হারামি এক বাদুড়।।/ তো নাম কি এই মহান জীবাণুর, যার বিরুদ্ধে সবাই মিলে ফাইটিং, আজ্ঞে মহারাজ, ভালোবেসে সবে নাম রেখেছে, মহান কোভিড নাইনটিন।।/ তা কি করে সে? একটু সবিস্তারে বলোনা, আজ্ঞে মহারাজ, চুপিসারে ছড়িয়ে ফেলে করোনা।।/ শুনছি নাকি তেনার দাপটে, ট্রাম্প মশাই ও কাত?? আজ্ঞে মহারাজ, পুঁজি আর বাদ আলাদা এখন, ভ্রষ্ট পুঁজিবাদ।।/ ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জাপান সবাই নাকি ধুঁকছে? জি মহারাজ, সব দেশেতেই মৃতের সংখ্যা, লাখের দিকে ছুটছে।।/ এ যে দেখি রাজরোগ, বাদ যায়না রাজা, সেনাপতি, মন্ত্রী, আজ্ঞে মহারাজ, শুনেছি নাকি, আক্রান্ত ছিলেন, ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী।।/ বল কি হে, তবে বাঙালি বিলেত যায়না আর?? না  মহারাজ, এখন সবাই খবর লুকায়,  বিলেত থেকে ফেরার।।/ এসব থেকে মুক্তি কিসে, আই মিন হাউ টু বী ফাইন?? আজ্ঞে, আপাতত উপায় বলতে, আইসোলেটেড কোয়ারেন্টাইন।।/ আ

বছর পঁচিশ পর

Image
দেখতে দেখতে পঁচিশটা বছর পাড়, কাঁচা পাকা চুলেও তোমায় দিব্যি মানায়; আজ ও তোমায় স্নিগ্ধ চোখে দেখি, ওই যে যখন বোতাম লাগাই জামায়।। উফফ, নিজের চুলে যেন কতই কালো, বলি; বয়েস টা কি দিব্যি ভুলে গেলে? আমার থেকে তিনটে বছর বেশি; মিঠাইকে সব বলবো , সময় পেলে।। আজ ও তুমি এক ই আছো বলো? জড়িয়ে রাখো, ঝগড়া বিবাদ ভুলে; এইত্ত দেখ, এপ্রিল মাস এলেই, ফুল গুজে দাও, খোপায় কিংবা চুলে।। তুমিও বা সেই বদলালে আর কোথায় ? কনস্টান্ট সেই চায়ের ভাড় আর আদর, তোমার জেদ ও বদলালো আর কবে? ভিক্টোরিয়ায় একটু দেখেই, এক করলে চাদর।। এইত্ত  ছাদে ভিক্টোরিয়ার বেঞ্চ পেতেছি দেখো ভেলপুরি টা আমিও ভালোই মাখি, বসবে নাকি, পাশ ঘেঁষে, ফুল নিয়ে , তোমায় যে সেই হ্যাঁ, বলাটা বাকি।। তোমার তো সব দিব্যি, মনে আছে!! সেই আবদার, আরেকটা গান শোনার; সেই অভিযোগ, সময় দি না আমি; এখন এ নাও, সবটা সময় তোমার।। সেই, এখন তো সেই ফ্যান ফলোয়ার কম, ঝাড়ি মারা আর গায়ে পড়া সব মেয়ে, ঠান্ডা হাওয়া, বৃষ্টি আসবে বোধ হয়;নিচে চলো; ডিনার গোছাই, তোমার ওষুধ আছে খেয়ে।। আরেকটু প্লিজ, এই রাগ টা বড্ড চেনা আমার, আজ ও তুমি সেই বছর পঁচিশ আগেই, রাগটাকেও যত্

আইসোলেটেড এপিসোডস_১১

Image
- কাল ঘর ঝাড়তে গিয়ে তোর পিংপং বলের ব্যাগ টা পেলাম বুঝলি?? -তাই নাকি?? 😍 আর আমি আজ সেই ইনডোর ব্যাডমিন্টন সেট টা পেলাম.... - সেই যেটায় তুই শুধু হারতিস?? - মোটেই না, আজ সন্ধেয় ওই ছেলে খেদানো মায়ের পুরোনো সিরিয়াল টা বাদ দিয়ে একবার বসো না দিকি, কে কাকে হারায়।। 🙄😏 -আচ্ছা বেশ।।

আইসোলেটেড এপিসোডস_১০

Image
- মা , সুপ দিয়ে পাস্তা হয়,??? - আমি পাস্তার পা ও জানিনা, তুই খেতে পারলেই হয়, - (বানানোর পর) হ্যাঁ গো, ভালোই খেতে, আর এই দ্যাখো ইনস্টাগ্রামে হ্যাশট্যাগ ও আছে, তারমানে আলবৎ হয়👌 - 🙄

কথা ছিল

Image
কথা ছিল, সব যুদ্ধ শেষে তুমি ঠিক ফিরে আসবে, বোগেনভিলিয়া হবে আমাদের বাড়ির সামনের গ্রীলটায়, সেবার পুজোয় যে হাত ধরা, আর ফুচকা খাওয়া বাকি থেকে গেছিলো, ওটাও নাকি হবে; কথা ছিল, ছাদের রেলিংয়ে চন্দ্রমল্লিকা, একসাথে সন্ধ্যের চা, তোমার ট্রাভেল পাস এ পাহাড়, আর সপ্তাহান্তে সমুদ্দুর,  আমি থাকলে উদাসীন কোনো পাহাড়ের খাজ বা নদীর পাশেও মানিয়ে নিতে পারবে, বলেছিলে; আমার কবিতারা তোমার বড্ড প্রিয় ছিল, আজ ও আছে, তাইতো ফিরে এসে ওদেরই খুঁজেছিলে আগে, তোমার গিটার; ওটাও আর শোনা হলোনা, কোনো একলা নগ্ন দুপুরে।। তুমি ফিরেছিলে ; কিন্তু, অপেক্ষা, এই শব্দটা কোনোদিন আত্মস্থ হলনা আমার, আমি পারলামনা, শুধু থরে থরে কবিতা লিখে, দাঁড়িয়ে থাকতে; শুধু তোমার জন্য।। আজ আর ভালোবাসা আসে না আমার, লেখাও আসেনা; দু চার লাইন এর প্রেম আসে, সে দিন লুকিয়ে না চলে গিয়ে, সামনে এসে দাঁড়াতে পারতে, ওর সাথে আলাপ করাতাম; যে প্রেম অপেক্ষা করতে দিলোনা, যে প্রেম কবিতা লিখতে দিলোনা, কথা রাখতে দিলো না।।

আইসোলেটেড এপিসোডস_৯

Image
তোমায় বড্ড মিস করছি, জানো?? জানতাম তোমায় ভালোবাসি, কিন্তু কোনোদিন গভীরতা মাপতে যাইনি, আজ এই বন্দি অবস্থায় তোমার জন্য বড্ডো অস্থির লাগছে, আমায় মনে পড়ছে তোমার একবার ও?? অফিসের নিয়মানুবর্তিতা ভেঙে মাঝে মাঝে তোমার ফুটপাথ ঘেঁষে দাঁড়াই, ব্যস্ত তুমি, লাল নীল কালো সবুজ গাড়িগুলো, আর একের পর এক চোখের সামনে থেকে মুছে যায় নাম্বার প্লেটগুলো, আমি অনেকটা সময় মুগ্ধ হয়ে তাই দেখি, তোমার হাওয়ায় নাকি অনেক পলিউশন, মন ভরে তাই শুষে নি অনেকক্ষন। অনেকদিন মার সাথে ঝগড়াঝাটি করে, কাউকে কিছু না জানিয়ে তোমার ই কোনো এক স্নিগ্ধ কোনে চুপ করে বসে, তোমায় সব গল্প বলেছি, কখনো কখনো তুমি শান্ত ও করেছ আমায়। মার সাথে ওই কেনাকাটার, সিনেমা দেখার দিন গুলোয় মনে করিয়ে দিয়েছ, দ্যাখ তোকে মা কত্ত ভালোবাসে। ট্রামলাইন বেয়ে সেই কলেজের বাউন্ডুলে পনা, লঞ্চ চেপে হাওড়া ব্রিজের নীচের প্রাচীনতা মাপা,  কলেজ বান্ক, প্রথম সিগারেট কিংবা প্রথম ঝাড়ি, হেদুয়ার গলি, বাগবাজারের ঘাট, সন্ধ্যা তারায় পড়ে আসা বিকেলে এক কাপ কফি, কফি হাউসের অকারণ আড্ডা, ইউনিভার্সিটি, কলেজসট্রিট... তোমার শ্রাবনের বৃষ্টি, আরো অনেক গোপন, যা কাউকে ক

আইসোলেটেড এপিসোডস_৮

Image
ছাদের কার্নিশে বসে চা ,চানাচুর, আইপডে "আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে নিশুতিরাত গুমড়ে কাঁদে", পুব আকাশে গোলাপি আভার চাঁদ, মনের ভেতর একটা নিশ্চুপ আহা!! খুব শিগগির কোনো একদিন বাড়ি ফেরার ভিড়ে ঠাসা ট্রেন এ দাঁড়িয়ে, ঠিক মনে পড়বে এই সন্ধে গুলো, মন ভালো হবে।

আইসোলেটেড এপিসোডস_৭

Image
The sky & my playlist ১. তোমাকে চাই ২. তুমি আসবে বলেই ৩. আমার ভিনদেশি তারা ৪. কে প্রথম ৫. তুমি সন্ধ্যার ও মেঘমালা ৬. তুমি রবে নীরবে ৭. যাও পাখি বল ৮. ফেরারি মন ৯. নীলাঞ্জনা ১০. আজ ঠোঁটের কোলাজ তারপরেও না হলে we shall over come!! আর মাঝে মাঝে  hand wash!!

Isolated Episode_6

Image
Outside- Afternoons be like, favourite pages on repeat mode... 🌷 Inside- I'm missing him, like hell Yaar 💔

আইসোলেটেড এপিসোডস_৫

Image
- (ফোন রিং) - কিরে তোরা মা মেয়ে কেমন আছিস? - ও, বড় মামা, বলো, কেমন আছো? - আমরা তো আছি, এই ঘরবন্দী, আছিস কেমন তোরা?? - আমরাও ওই এক ই। - তিতির এর অফিস ও তো বন্ধ, নাকি?? - হ্যাঁ, সে ও বন্দী, ছটফট করছে কেমন দেখো না, - তা কি করছে সারাদিন?? গল্পের বই নাকি?? - হ্যাঁ তা তো আছেই, অনেক অকাজ ও করছে, - তাই নাকি? যেমন? - এই রুটি গোল করার চেষ্টা করছে, চাউ সিদ্ধ করার চেষ্টা করছে, আর কি। - তা ভালোই করছে, ঘরে টিকতে তো হবে। খেয়াল রাখিস ওর। আর তুই ও একদম এ বেরোসনা। - হ্যাঁ তোমরাও, - সব ঠিক হয়ে গেলে, একদিন ঘুরে যাস। - হ্যাঁ, রাখলাম।

আইসোলেটেড এপিসোডস_৪

Image
হ্যাঁ, এইভাবেই ব্যথা এসেছে, ব্যথা গেছেও, মলম লেগেছে ক্ষতয়, আর আমরা সবাই এভাবেই সামনে তাকিয়ে থেকেছি । সব মিটে গেলে একদিন, পাহাড় যাবো, নাক ফুটোবো, তার আগে নয় একদিন প্রিন্সেপ এ বসে ঝগড়া করবো, আবার কাজল লাগাবো, বোগেনভিলিয়া গাছটার নিচে ফটো তুলে প্রোফাইল পিকচার লাগাবো, দু লাইন ক্যাপশন লিখে দিবি তো রে?? তারা খসা দেখবো নদীর পারে বসে, আবার সেলফি তুলবো, স্বপ্ন বুনবো, সোয়েটারের পকেটে হাত রাখবো, ছাতা উল্টে যাবে ঘোর বৃষ্টিতে, তার আগে শুধু আরেকটু অপেক্ষা, আরেকটু চিলেকোঠার ছাদে বসে একলা সন্ধেয় ভিনদেশি তারা নতে হবে, ব্যাস এটুকুই যা অপেক্ষা।।

আইসোলেটেড এপিসোডস_৩

Image
- (ফোন রিং) - হ্যালো, বল রে, মাস পাঁচেক পর মনে পড়লো তবে?? - হ্যাঁ ওই আর কি, এমনিতে কাজকর্মে আইসোলেটেড থাকি, এখন তো কাজ ও নেই, তো কি করছিস বল?? - জিও টিভি তে মহাভারত দেখছি, বিকেলে ছাদে গান গাইছি, আর কি জানি কি করছি, তুই?? - আমিও ওরকমই, এইত্ত ছাদেই বসে। - এই রোদে?? - আরে আমি একা নই, কিছু বইপত্র আর কিছু পাণ্ডুলিপিরাও আছে যারা বই হতে পারত, ওদের সাথেই রোদ পোহাচ্ছি। - পাণ্ডুলিপি মানে, তোর সেই লেখার খাতাগুলো? - হ্যাঁ রে।। - তা হতে পারত বলছিস কেন?? ওরাও বই হবে তো?? - হ্যাঁ, পৃথিবী থাকলে, পড়ার লোক থাকলে অবশ্যই হবে একদিন। - হ্যাঁ, ইয়ার! লেটস হোপ ফর দি বেস্ট।। - চ টাটা, টেক কেয়ার।। - ওকে বাই, স্টে হোম, স্টে সেফ।।

আইসোলেটেড এপিসোডস_২

Image
- খেতে বসেও ফোন টা লাগবে তোর?? - আররে দাঁড়াও না, বলছি ওই একটা ফটো নেব - মানে? এই আলুসিদ্ধ, ডাল, ভাতের ছবি??? - আরে মা তুমি জানোনা, এখন তো এটাই ফটোজেনিক। - তাই নাকি?? তোরা পারিস ও, মরতে বসেও ফটোজেনিক 🙄 - তুমি কি বুঝবে, জানেমান, এই মায়া হাতে মাখা তুলতুলে স্বর্গ আর ঐ তোমার হাতের ছোঁয়ার অমৃত ডাল, ধারে কাছে আসবে কেউ?? - তবে যে শেষ দিনের অফিস ফেরত, চিংড়ি মালাইকারি না কিসের কথা বলছিলি, ওসব গুজব নাকি?? - offo, সে যাই হোক, এই একুশ দিন গুজবে কান দিওনা, আতঙ্ক থুড়ি লোভ ছড়িও না প্লিজ।। আর এক হাতা ডাল দাও দিকি।।

আইসোলেটেড এপিসোডস

Image
- কি রে ভুলে যাচ্ছিস তো পুরোই, - না রে - তবে?? একদম ই ফোন মেসেজ নেই যে, তোকে এরম মানায় নাকি ? - বেশ ভয় হচ্ছে। - আবার?? বলছিনা এভাবে ভাবিসনা!! - অন্য কিভাবে ভাবব ? - আররে শোননা... - দূরত্ব প্রেম তো কমিয়ে আনলি, প্রকৃতির উলটো দিকে এভাবে কতদিন হাঁটবো?? - সব ঠিক হয়ে যাবে তো শিগগীর... - আর পৃথিবী টাই না থাকলে ?? - তোকে হেরে যাওয়া মানায়না। - তোর চিঠি গুলো সাজিয়ে রোদ পোহাচ্ছিলাম আজ, সবে তো বছর দুয়েক আমরা বল, আর এখন ই.... - দুশো হবো ঠিক, দেখিস... - সব চুকে বুকে যাবে বল? -একটা চিঠি সত্যি হয়েছে, বাকিগুলো বাকি তো বল?? - তোর মনে আছে?? হ্যাঁ, শুধু পাহাড় টা ঘোরা হয়েছে, - কত কি বাকি, দেওয়াল রং, সমুদ্র, দোলনা, আর.... - সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস।।

"নারী চরিত্র বেজায় জটিল"

ওদের বোধ হয় কখনোই বোঝা হয়ে ওঠেনা, আপনাদের বলুন?? অনেক সময় হয়তো সবটা জানাও হয়ে ওঠেনা।। এই যেমন সকালের এলার্ম টা পিছিয়ে দিয়ে খুশি হয় ওরা, কিংবা ভোর ৩টে ঘুম ভেঙে, আর কতটা ঘুমনো যায়, মেপে নিয়ে খুশি হয় ওরা। বাথরুমের দেয়ালে টিকটিকি দেখে, মাঝে মাঝে নকল চিৎকার করতে ও পছন্দ করে। আপনার সুপ্রভাত এর মেসেজ টা, একটু দেরিতে এলে রেগে যায় ওরা। চকোলেট সবটা খেয়ে নেওয়ার পর, প্যাকেট এর গায়ের ফ্যাট মেজর করে ভয় পায় ওরা। মাঝে মাঝে, মেকআপ না করে, রোদ মাখতে ভালো লাগে ওদের। কোনো একদিন সবাইকে না বলে একলা বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করে ওদের। অন্য মেয়ের ছবিতে আপনাদের অহেতুক হৃদয় বিদারক মন্তব্য কিংবা রিয়্যাক্ট এ মেঘ জমে ওদের মনে। ওদের সামনে অন্য কারোর প্রশংসা আপনার বিপদের কারণ হতে পারে। খুব ঝড়ের সময় আপনার থেকে অহেতুক একটা মেসেজ না পেলে, ওদের ভেতর বৃষ্টি নামে। জানেন, রোজ সকালে রুটিন মেপে রান্না চাপাতে ইচ্ছে করেনা ওদের? এক আধটা রোববার সকালে আপনার হাতের অখাদ্য চা খেতেও ইচ্ছে হয় ওদের। মেঘলা আকাশে লালচে ঘুড়ি দেখলে ওদের হয়তো আপনার কথা মনে পড়ে। হঠাৎ কোনো বিকেলে ভোঁ কাট্টা শুনে, হয়তো বা একটু ডুকরে কেঁদে ওঠে, আপনি খবর

🌼।।ছবি আর স্বগতোক্তি।।🌼

তুমি আর কটা দিন থেকে গেলেই পারতে, তুমি থাকা কালীন যতটা তোমার অবাধ্য ছিলাম, আজ ও ততটাই, জানো? আমার জ্বরের ঘোরে, সবটা মায়ের ওপর চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে তুমি। খুব রাগ হতো আমার , জানো? এখন ও হয়। খুব মনে হয়, ছবি থেকে বেরিয়ে এসে আগের মতো একবার বললেও তো পারতে? ঠিক করে খাইনা কেন? ডাক্তার দেখাইনা কেন? অফিস যাওয়ার সময় একবার সাবধানে ট্রেন লাইন পেরোনোর কথা বলতেও তো পারতে? পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় আরেকটা শেষ বার আমার প্রণামের অপেক্ষা করলেও তো পারতে? জন্মদিনে আরেকটা শেষ চামচ পায়েস জোর করে খাওয়ালেও তো পারতে? তুমি আর কটা দিন থেকে গেলেই পারতে।। তুমি বড্ড হিংসে করতে, মনে আছে?? বলতে মায়ের সাথেই আমার যত গল্পগাছা, খুব মজা লাগছে তোমার?? এই যে আজ তোমার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছি আমি, আসলে ওই সাদা কালো মুখটার সামনে দাঁড়িয়ে আর কাঁদতে পারিনা আমি, জানো? কত কিছু বলা হয়না, আর, আমাদের সেই এক চিলতে বাড়িটা ভেঙে, একটু বড় করা হচ্ছে, তুমি তো জানতে, আজকাল আর অত মজা হয়না জানো। ভাঙচুরে বড্ডো ভয় হয় আমার, যদি তোমায় পুরোটা ভুলে যাই, কখনো? আবার একটা এক চিলতে বাড়ি বানিয়ে, তিনজন মিলে থাকতে ইচ্ছে হয়।

Amidst April & October

It was an April day, a late morning it was & he came into my life. Amidst the city crowd, in the middle of my beautiful city, beside the pavement of the mosque, I preplannedly came across his infectious smile. We shook hands & felt like something in the universe clashed. He was a stranger, but he was like that favourite tune which I never wanted to forget. He was like a self announced midweek holiday after a hectic office day. He was like a rooftop of a sunny winter morning. I fell for the stranger, we came across some lyrics & wrote songs together. I closed those songs inside the attick of my heart. He become the colours of my pain pinned canvas, he become the October sky of my cloudy life, but gradually the year goes on, we faded, our hold lost its grip, melancholic verse covered our October sky. We were about to leave each other many times, but the lyrics behold us, into them. Whenever I felt scared of loosing him, I went to the attick & sing those lyrics secretl

সংক্রামক

তোমায় না পাওয়াটা দিন দিন একটা সংক্রামক ব্যাধির মত, আমার ভেতর চেপে বসছে জানো? এই যেমন, শীতের কোনো এক রবিবারের মাঝ সকালে, উত্তর কলকাতার কোনো পুরোনো বাড়ির রং চটা জানলায় লেগে থাকা আলসেমির মত সংক্রামক।। কিংবা,ওই চৌ মাথার মোড়ের খ্যাপা পাগলটার চক দিয়ে সজোরে রাস্তার ওপর ১টা এগরোল আর দুটো ডিমভাত লিখে দেওয়ার অজানা কারণের মত সংক্রামক।। কোনো দিন ছুঁতে পারবোনা এমন কোনো প্রেমিকার, ঠোঁটকাঠির রং লেগে থাকা কাপে অবাঞ্চিত চুমুক দিয়ে ফেলার ইচ্ছার মত সংক্রামক।। কর্পোরেটের ইট কাঠ রাজনীতিতে আটকে যাওয়া কোনো এক প্রেমিকের, সব হারিয়ে যাওয়ার ভয়ের মাঝখানে, রাধাচূড়া বিছানো ট্রাম লাইন ধরে এগিয়ে আসা ট্রামের প্রলেপের মত সংক্রামক।। ঝড়ে যাওয়া পাতা, শিতেল বৃষ্টিতে নিজের ছাদে লেপ্টে, গড়িয়া হাট মোড়ে যে হলুদ ট্যাক্সি টা রোজ দাঁড়িয়ে থাকে, বসন্ত আসবে বলে, সেই ভেজা অপেক্ষার মত সংক্রামক।। এইভাবে রোজ তিল তিল করে আমার দেওয়াল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তোমায় না পাওয়ারা। তোমায় পাওয়া আর না পাওয়ার মাঝখানের অদৃশ্য সেতু টা, হওয়ায় দুলতে থাকে, সংক্রামক পশ্চিমি ঝঞ্ঝার মতো।।